২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা গলাচিপায় পঞ্চবটি আশ্রমে ৭দিন ব্যাপি মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত তৃষ্ণার্ত মানুষদের বিশুদ্ধ পানি খাওয়ালো জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাবুগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে মারধর ।। পাথরঘাটায় মৎস্য বিভাগের অভিযানে ‘মারধর’, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক জেলে নিখোঁজ এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে পিরোজপুরে মানববন্ধন রাঙাবালী তে সালাতুল ইসতিস্কার নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পিরোজপুরে ভোটে অংশ নেওয়ায় দল থেকে বিএনপি নেতা বহিষ্কার অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না বরগুনায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, জায়গা নেই হাসপাতালের মেঝেতেও

বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার শুরু দুই সাহাবির মাধ্যমে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মুহাম্মদ আশরাফ আলী

বাংলাভাষীর বেশির ভাগই মুসলমান। অস্ত্রবলে নয়, আল্লাহর একাত্মে বিশ্বাস করে এ দেশের মানুষ ইসলাম গ্রহণ করে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুই প্রিয় সাহাবির মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের সূচনা হয়। বাণিজ্য ও ইসলাম প্রচারের জন্য চীনে যাওয়ার পথে বাংলাদেশে যাত্রাবিরতি করেন তাঁরা। তাদের মাধ্যমে এ দেশে ছড়িয়ে পড়ে ইসলামের দাওয়াত। বলাই বাহুল্য, সাহাবিরা ইসলাম প্রচারে গণমানুষের বাংলা ভাষাকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন। কারণ আরব থেকে কারও পক্ষে এ দেশে এসে আরবি ভাষায় কোনো বাংলাভাষীকে দীন সম্পর্কে বোঝানো সম্ভব নয়। মানুষ সৃষ্টি আর ভাষার ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। মানুষকে আল্লাহ স্বয়ং ভাষা শিক্ষা দিয়েছেন। প্রথম মানব হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টির পর আল্লাহ তাঁকে সৃষ্টির সবকিছুর নাম শিক্ষা দেন। এ শিক্ষা প্রাপ্তির মাধ্যমে হজরত আদম (আ.) ভাষা সম্পর্কে অবহিত হন। সুরা ইবরাহিমের ৪ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি রসুলদের তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই পাঠিয়েছি, যাতে স্পষ্টভাবে তাদের বোঝাতে পারে।’ ভাষার বৈচিত্র্য আল্লাহর কুদরত। আল্লাহকে যে কোনো ভাষায় ডাকা যায়। যে কোনো ভাষায় তাঁর রহমত কামনা করা যায়। বুখারির হাদিসে বলা হয়েছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ সব ভাষা জানেন।’ আল্লাহর এ কুদরতের কথা উল্লেখ করে সুরা রুমের ২২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তাঁর আরও একটি নিদর্শন হলো আকাশ ও জমিনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাব প্রকাশের ভাষা ও বর্ণের সৌন্দর্য। নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে।’

ভাষা প্রতিটি জাতির নিজস্ব সম্পদ। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিটি জাতির জন্য উপহারবিশেষ। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাতৃভাষা ছিল আরবি। তাঁর ওপর কোরআন আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছিল। তাঁর মাতৃভাষার প্রতি এটি ছিল মহান আল্লাহর সম্মান। আল্লাহর রসুল নিজেই বলেছেন, তিনি তিনটি কারণে আরবি ভাষাকে ভালোবাসেন। প্রথমত কোরআনের ভাষা আরবি, দ্বিতীয়ত জান্নাতের ভাষা আরবি, তৃতীয়ত তাঁর মাতৃভাষা আরবি। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ সব নবী-রসুল যেহেতু তাঁদের মাতৃভাষাকে ভালোবাসতেন সেহেতু মাতৃভাষাকে ভালোবাসা নবী-রসুলদের সুন্নত। মুসলমান হিসেবে আমাদেরও উচিত মাতৃভাষাকে ভালোবাসা। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। অন্যসব ভাষার মতো এ ভাষাও আল্লাহর দান। আল্লাহর রহমত। এ ভাষার মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। ১৯৫২ সালে যাঁরা মাতৃভাষার মর্যাদার জন্য লড়েছেন তাঁরা আল্লাহ-প্রদত্ত ভাষার হক প্রতিষ্ঠায় লড়েছেন। মুসলমানরা বাংলা ভাষাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে দূর অতীতে সুলতানি আমলে। ইসলামচর্চায়ও এ ভাষার বিশিষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

সর্বশেষ