৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভান্ডারিয়ায় দুই শিশুকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিলো প্রভাবশালী বাদল

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় দুই শিশুকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বাদল হাওলাদারের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার বিকালে উপজেলার ধাওযা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাজপাশা গ্রামে রাহাত হাওলাদার (১১) ও ওহেদুল ইসলাম হাওলাদার লালন (৯) নামের এই দুই শিশুকে মারধরের ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ওহেদুল উপজেলার রায়পাশা গ্রামের বেলাল হাওলাদারের ছেলে এবং রাহাত নদমুলা ইউনিয়নের চরখালী গ্রামের মৃত শামীম হাওলাদারের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- রাহাতের বাবা-মা মারা যাওয়ায় সে রায়পাশা গ্রামে তার মামা বেলাল হওলাদারের বাড়িতে থাকে। রাহাত স্থানীয় রাজপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ও ওহেদুল ইসলাম লালন রাজপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশ ও বিভিন্ন মাধ্যম জানা গেছে, হামলায় রাহাত হাওলাদারের বাম হাত ভেঙে দেওয়াসহ পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। এ সময় তার মামাতো ভাই ওহেদুল ইসলামকেও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।

আহত রাহাত হাওলাদার জানায়, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে রাজপাশায় বাদল হাওলাদারের বাড়ির সামনের রাস্তায় বসে বাদল হাওলাদারের দুই ছেলে সাইমুন ও সিয়াম তার ভাইপো মুবিনকে মারধর করছিল। বিষয়টি মুবিনের মাকে আমরা জানালে সাইমুনের বাবা বাদল হাওলাদার ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে (রাহাত) ও আমার মামাতো ভাই ওহেদুলকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

তার পিটুনিতে আমার বাম হাত ভেঙে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আহম্মেদ জানান, রাহাতের বাম হাতের কনুই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তার হাড় ভাঙা জখমসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওহেদুলের শরীরেও ফোলা জখম রয়েছে। আহত রাহাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ওসি মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, অভিযুক্ত বাদল হাওলাদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

থানা পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পিতৃ-মাতৃহীন অসহায় রাহাততের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছে থানা পুলিশ। ইতিমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, জানান ওসি।

সর্বশেষ