২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা গলাচিপায় পঞ্চবটি আশ্রমে ৭দিন ব্যাপি মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত তৃষ্ণার্ত মানুষদের বিশুদ্ধ পানি খাওয়ালো জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাবুগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে মারধর ।। পাথরঘাটায় মৎস্য বিভাগের অভিযানে ‘মারধর’, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক জেলে নিখোঁজ এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে পিরোজপুরে মানববন্ধন রাঙাবালী তে সালাতুল ইসতিস্কার নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পিরোজপুরে ভোটে অংশ নেওয়ায় দল থেকে বিএনপি নেতা বহিষ্কার অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না বরগুনায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, জায়গা নেই হাসপাতালের মেঝেতেও

মানুষের উদ্ধেগ উৎকন্ঠায়- প্রধানমন্ত্রীর নির্ঘুম রাত !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সোহেল সানি :

সবাই যখন ঘুমে বিভোর তখনও জেগে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নির্ঘুম রাতটিতে ছিলেন সরব। ঘণঘোর আঁধারেও যে নিথর নিস্তদ্ধ হয়ে থাকা মানুষ তিনি নন, তা প্রকৃতির নানা তান্ডবের প্রাক্কালে দেখা গেছে। তিনি গতকাল ছিলেন গভীর চিন্তামগ্ন। সম্ভাব্য আঘাত কি করে সামাল দেয়া যায়, সে নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন দিনভর। রাতে যেনো, সে চিন্তা আরও প্রবলতর হয়ে ওঠে। সম্ভাব্য ছোবলের আশঙ্কায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়া প্রধানমন্ত্রী তিনি নন, তিনি মহা দুর্যোগে যেন দেশ ও জাতির পাশে দৃশ্যমান এক অতন্দ্র প্রহরী। করোনার দুর্যোগ মোকাবিলায় তাঁর কর্মপ্রয়াসে ফুটে উঠেছে কতটা মানুষের জন্য নিবেদিত। আবহাওয়াবিদরাই মূলত,
চরম উৎকন্ঠা, উদ্ধেগ ছড়িয়ে নির্ঘুম করে রেখেছিলো প্রধানমন্ত্রীর চোখ। আজ বিকেলে এ আঘাত হানতে পারে এরকম ধারণা করা হচ্ছে।
বিভিন্নভাবে সময়ে সময়ে খোঁজখবর রাখেন তিনি। আর সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের তাগিদ ছিলোই। রাতভর ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রধানমন্ত্রী- সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে।
আকাশ ঝড়বৃষ্টি তান্ডব চালিয়ে আঘাত হানতে পারে এরকম দক্ষিণ আর পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের উৎকন্ঠাকে আপনমনে দেখেছেন তিনি। দুর্গত অঞ্চলগুলোর উধর্বতন কর্মকর্তারাও ঘুমাতে পারেননি প্রধানমন্ত্রীর তাগিদে।
কি করে ঘুমাবেন প্রধানমন্ত্রী ?
এদেশকে তাঁর মতো করে কে আর ভালোবাসতে পারেন? এ দেশের দুঃখদুর্দশাগ্রস্থ মানুষের চিন্তা তাঁর ন্যায় কে বা আর করেন!
তিনি তো জাতির পিতার কন্যা, নিছক সরকার প্রধান নন। তাই তাঁর দায়িত্ব কর্তব্যবোধ অসীম,অশেষ।
তিনি উপলব্ধি করছিলেন, আশঙ্কাজনক এলাকার মানুষ কত না উৎকন্ঠায় ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার মন্ত্রী এমপি, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগ রেখেছেন। আঘাত হানলে পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দিতে হবে – তার নির্দেশনা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, একদিকে এ কাজ করেছেন, অন্যদিকে আল্লাহর দরবারে হাততুলে প্রার্থনায় করেছেন, কুরআন পড়েছেন। গণভবন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী সেহরি খাওয়ার পরেও শয্যাশায়ী হননি। নামায আদায় করেছেন আর ফাঁকে ফাঁকে খবর সংগ্রহ করেছেন সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ভালো আছে, আজ বিকাল পর্যন্ত ভালো থাকুক বাংলাদেশ। মহান আল্লাহর কৃপায় রক্ষা পাক দেশ ও দেশের মানুষ।
লেখকঃ সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট

সর্বশেষ