রংপুরের মিঠাপুকুরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরির অভিযোগে তছলিম উদ্দিন (৫০) নামের এক নৈশপ্রহরীকে গণপিটুনিতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। উপজেলার শঠিবাড়ীতে শনিবার ভোররাতে গণপিটুিনির এ ঘটনা ঘটে। নিহতের ছেলে ইয়ামিন আলী এ ঘটনায় সাহেব আলী (৪০), মোজাহিদুল হক (৩০), সাব্বির হোসেনসহ (৩২) ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করলেও তাঁদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি। নিহত তছলিম উদ্দিন উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের শীতলগাড়ী গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় লোকজন জানায়, তছলিম চৌর্যবৃত্তির সঙ্গে জড়িত হওয়ার মতো ব্যক্তি ছিলেন না। অন্য কোনো কারণে তাঁর ওপর অসন্তুষ্ট স্থানীয় কিছু দোকানদার পরিকল্পনা করে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
তছলিম হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শনিবার বিকেলে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করলে উভয় পাশে শত শত যান আটকে পড়ে। অন্যদিকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে রবিবার মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী বিশ্বাসকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শঠিবাড়ী হাটের মুদিবাজারে নৈশপ্রহরী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিলেন তছলিম উদ্দিন। শনিবার ভোররাতে এলাকার সাহেব আলীর মুদি দোকানে চুরির ঘটনায় রমজান আলী (১৮) নামের এক চোরকে আটক করে স্থানীয় কয়েকজন। পাশের পীরগঞ্জ উপজেলার জীবনানন্দ গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে রমজান এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করে, নৈশপ্রহরী তছলিমও ওই চুরির সঙ্গে জড়িত।