৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মির্জাগঞ্জে ঝুপড়িঘরে মানবেতর ও ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন করছেন অসহায় বৃদ্ধা !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
মোঃ মাহাবুব আলম বাবুল , মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী:
মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৫ নং কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মকুমা গ্রামের মৃত আবদুল কাদের এর বৃদ্ধা স্ত্রী মোসাঃ সায়েরা বেগম,উপরে তালপাতা,পলিথিনের ছাউনি দিয়ে জরাজীর্ণ,ভাঙ্গাচুরা,লক্কর-ঝক্কর ঝুপড়ি ঘরে চরম দুর্ভোগ,ভোগান্তি নিত্য সঙ্গী করে মানবেতর জীবনযাপন করিতেছে। সায়েরা বেগম একাই ও-ই ঘরে থাকে। তার কোনো ছেলে সন্তান নাই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মোসাঃ সায়েরা বেগম,আশপাশ জনশূন্য একটি নির্জন ভিটায় ভাঙ্গাচুরা একটি ঘরে থাকে। সেই ঘরে পৌছানোরও ভালো কোনো রাস্তা নাই। ঘরের উপরে তালপাতা,মরিচাধরা কাঁটাছেড়া টিন ও প্লাস্টিকের পলিথিন দিয়ে ছাউনি দেওয়া। সামান্য বৃষ্টি হলেই চতুর্দিক থেকে ঘরের ভিতর পানি পড়ে। এর ফলে ঘরের শক্ত মাটির ফ্লোর কাদামাটিতে পরিনত হয়। এসময় তার কষ্ট,দুর্ভোগ,ভোগান্তি আরো দিগুণ বেড়ে যায়। ঝড়বৃষ্টি,ঠান্ডা-গরম অপেক্ষা করে এরকম একটি ভাঙ্গাচুরা ঘরে বছরের পর বছর মানবেতর জীবনযাপন করতেছেন।
মোসাঃ সায়েরা বেগম বলেন,আমি এই ভাঙ্গাচুরা ঘরে খুবই কষ্ট করে থাকি। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের উপরের ছাউনি থেকে ঝুপঝুপ করে পানি পড়ে,ঘরের ভিতরের সব কিছু ভিজে তছনছ হয়ে যায় । পানি কাদায় ঘরের ভিতর চলাফেরা করিতে খুব অসুবিধা হয়। পানি কাদায় অনেকবার পা পিছলে পড়ে প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হই। ঘরের চতুর্পাশে ভালো বেড়া না থাকাতে,বাতাসে বৃষ্টির পানি বেড়ার ফাঁক দিয়েও আসে। বড় বাতাসে ঘরের উপরের ছাউনি বহুবার উড়িয়ে নিয়ে গেছিলো।
তিনি আরো বলেন,বয়স হয়েছে চলতে ফেরতেও খুব কষ্ট হয়। আমাকে দেখার মতো কেউ নাই। আমার কোনো ছেলে সন্তানও নাই যে,তারা আমাকে দেখবে। এই নির্জন ভিটায় ভাঙ্গাচুরা ঘরে একা-একা বছরের পর বছর থাকতেছি। আমি শুনেছি সরকার নাকি ঘর দেয়। আমাকে যদি একটা ঘর দিতো,তাহলে বৃদ্ধা বয়সে বাকি জীবন একটু শান্তিতে কাটাতে পারতাম। এই কষ্ট আর আমি সহ্য করতে পারি না। তার চেয়ে যদি আল্লাহ আমাকে নিয়ে যেতে তাহলেও ভালো হতো।

সর্বশেষ