২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পৈত্তিক সম্পত্তি বেদখল হওয়ায় নিঃশ্ব হয়ে গেলেন নিরঞ্জন মিত্র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা গলাচিপায় পঞ্চবটি আশ্রমে ৭দিন ব্যাপি মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত তৃষ্ণার্ত মানুষদের বিশুদ্ধ পানি খাওয়ালো জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাবুগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে মারধর ।। পাথরঘাটায় মৎস্য বিভাগের অভিযানে ‘মারধর’, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক জেলে নিখোঁজ এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে পিরোজপুরে মানববন্ধন রাঙাবালী তে সালাতুল ইসতিস্কার নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পিরোজপুরে ভোটে অংশ নেওয়ায় দল থেকে বিএনপি নেতা বহিষ্কার অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না

মুক্ত কলামঃ নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন ! দায়িত্বটা কার ?

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আমি আপনি সবাই অবাক হবেন কিছু বিষয় আমি উওর খুজে পাই না। এ ভাবে প্রতিস্টান চলতে পারে কিভাবে?বরিশাল বিভাগের অবস্থা টা দেখা যাক, বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া কোন বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতাল নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা নাই, প্রশ্ন হল তাহলে কি বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক অপারেশন হচ্ছে না বা রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে না। আসলে বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক রক্ত প্রয়োজন হচ্ছে, সবাই চাহিদা মত রক্ত সরবরাহ করছে কিন্তু তাদের সরকারি কোন অনুমতি নাই কি অবাক বিষয়। আপনি যখন তদন্ত করবেন সবাই বলবে আমরা রক্ত পরিসন্চালনের জন্য কাজ করি না, রোগী র প্রয়োজনের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় যাহা ১০০% মিথ্যা কথা কিন্তু আপনার আমার বিশ্বাস করতে হয়। আসলে আমাদের দেশেই সত্যি কে প্রমান করতে নিজেকে মিথ্যা আসামি বানাতে হয় যা পৃথিবীর কোন দেশে হয় কিনা সন্দেহ? আসল কথায় আসি কারো দোষ দেবো না দোষ আমাদের পরিকল্পনা বিদদের মনে হয় ধরুন আপনার বোন কে রাত দুটোর সময় বরিশালে সবচেয়ে আধুনিক বেসরকারি হাসপাতাল সিজারিয়ান অপারেশন জন্য ভতি করবেন তখন চিকিৎসক আপনাকে রক্ত সংগ্রহ করতে বলবে তখন আপনার মাথা য় আকাশ ভেঙে পড়বে কারন রোগী রক্ত জন্য আপনাকে এই রাতে যেতে হবে একমাএ ভরসা স্থল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্লাডব্যাংকে আর যদি আপনার রোগী র গ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে মৃত্যুর ঝুঁকি কত তা চিন্তা র বিষয়। রক্তের প্রয়োজনের আসবেন এসে দেখবেন রাত দুটো সকল স্বেচ্ছাসেবী প্রতিস্টান বন্ধ কারন তারা মেডিকেল ছাএ তাদের লেখাপড়ার চাপ ও ডিউটি অনেক বেশি ফলে আপনাকে রাতে সাগরের মধ্যে পড়তে হবে, এটা শুধু সিজারিয়ান অপারেশন জন্য ই নয় রাতে রোড একসিডেন্ট বা অন্য কোন প্রয়োজনে রক্তের প্রয়োজন হলে আপনি যত ভিআইপি হন আপনার বিপদ ৯৯% তাতে ভুল নাই। আবার পদার আড়ালে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল যারা রক্ত সরবরাহ করে তারা রক্ত সরবরাহ করার নিয়ম মানে না, যাহা করোনার চেয়েও ভয়াবহ ভাইরাস রোগী মধ্যে প্রবেশ করছে, রক্ত রোগীর শরিরে প্রবেশের আগে ৬ টি টেস্ট করে নিতে হয় যাহা না করিলে রক্ত দাতার রোগ টি রোগী র শরিরে প্রবেশ করবে তারমধ্যে ভয়াবহ হচ্ছে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস, এইচআইভি ভাইরাস, সি ভাইরাস। সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল রক্ত সরবরাহ করছে কিন্তু বিশ্বস্বাস্থ্যসংস্থার গাইডলাইন ফলো করছে না আবার নিরাপদ রক্ত পরি সঞ্চার জন্য পরিক্ষা ছাড়া রক্ত সরবরাহ করা হচ্ছে ফলে ব্যাপক হাড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভাইরাস সংক্রমন। তাই পরিকল্পনা যারা বসে আছেন দয়াকরে বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক বেসরকারি ব্লাড ব্যাংক অনুমতি দেন কারন একদিন আপনার কেউ হয়তবা ভাইরাস সংক্রমন হতে পারে।

লেখক:-


মো তাহেরুল ইসলাম
বিএসসি ইন ল্যাব মেডিসিন (ডিইউ)

প্রভাষক
আইএইচটি বরিশাল।

সর্বশেষ