২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পৈত্তিক সম্পত্তি বেদখল হওয়ায় নিঃশ্ব হয়ে গেলেন নিরঞ্জন মিত্র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা গলাচিপায় পঞ্চবটি আশ্রমে ৭দিন ব্যাপি মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত তৃষ্ণার্ত মানুষদের বিশুদ্ধ পানি খাওয়ালো জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাবুগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে মারধর ।। পাথরঘাটায় মৎস্য বিভাগের অভিযানে ‘মারধর’, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক জেলে নিখোঁজ এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে পিরোজপুরে মানববন্ধন রাঙাবালী তে সালাতুল ইসতিস্কার নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পিরোজপুরে ভোটে অংশ নেওয়ায় দল থেকে বিএনপি নেতা বহিষ্কার অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না

রাজাপুরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে যাযাবর জীবনযাপন করছে টিটু!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক :: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাকরাইল গ্রামের মৃত. মো. শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে টিটু হাওলাদারের পৈতৃক সম্পত্তি থাকতেও অর্থাভাবে বসতঘর তৈরি করতে না পারায় স্ত্রী ও স্কুলপড়ুয়া পুত্রকে নিয়ে যাযাবর জীবনযাপন করছেন। স্থানীয়দের সহায়তায় কোনো রকম টিনের বেড়া দিয়ে ও পলিথিনের ছাউনির ঘরটুকুও ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টিটু হাওলাদার বলেন, সাত বছর বয়সে মা মারা যান। তখন আমরা তিন ভাই-বোন। ছোট অবস্থায় মা মারা যাওয়ায় মামাদের মাধ্যমে ঝালকাঠিতে বসবাস শুরু করি। ঝালকাঠি শহরতলির বিকনা এলাকায় (বাসন্ডা ব্রিজের পূর্বঢালে) একটি ঘরে থাকতাম। বোনের বিবাহ হওয়ায় সে শ্বশুরবাড়িতে আছেন। বড় ভাই কয়েক বছর আগে নিহত হয়েছেন।

 

তিনি বলেন, ওই এলাকায় টিনের ঘরে ৩০০ টাকা ভাড়ায় একটি ঘরে স্ত্রী ও স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। পুঁজি না থাকায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে সক্ষম না হওয়ায় ওই কক্ষেরই একপাশে স্ত্রীকে চায়ের দোকান দিতে হয়েছে। দু’জনের কষ্ট ও পরিশ্রমে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে সন্তানের পড়ালেখা চালিয়ে নিজেদের দু’বেলা দু’মুঠো ভাত জোগাড় করাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

‘পৈতৃক ভিটায়ও বসবাসের উপযোগী ঘর না থাকায় সেখানে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। পলিথিনের ছাউনিটুকুও ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন রোদ, বৃষ্টি, বন্যা হলে কোনোভাবেই বসবাস করা সম্ভব হচ্ছে না।’

টিটুর স্ত্রী শামিমা সুলতানা বলেন, সাকরাইল গ্রামে আমার শ্বশুরবাড়িতে জমি থাকলেও মানুষ হিসেবে বসবাসে কোনো উপায় নেই। রোদ, বৃষ্টি, বন্যা, বাতাস সবই মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। একমাত্র পুত্রকে নিয়ে এত কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে তা ভাষায় বোঝাতে পারছি না। যদি সরকারিভাবে একটি ঘর পাওয়া যেত, তাহলে আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হতো।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির সিকদার বলেন, মৃত শাহজাহান হাওলাদারের জমি থাকলেও সেখানে নেই কোনো বসবাস উপযোগী ঘর। অর্থাভাবে তুলতে পারছে না ঘরও। আমরা স্থানীয়দের সহায়তায় সুপারি গাছ ও পলিথিনের ছাউনিতে বসবাসের ব্যবস্থা করছিলাম। ইয়াসে তাও নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, অমানবিকভাবে তাদের এখন মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। আমরা পারি সরকারি সহায়তায় খাদ্য উপাদান দিতে, কিন্তু কাউকে তো ঘর করে দিতে পারি না। সরকারি বরাদ্দে জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের মাধ্যমে যদি একটি ঘর টিটুকে দেয়া হয় তাহলে তার দুঃখ-কষ্ট লাঘব হবে।

সর্বশেষ