২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
গলাচিপায় পঞ্চবটি আশ্রমে ৭দিন ব্যাপি মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত তৃষ্ণার্ত মানুষদের বিশুদ্ধ পানি খাওয়ালো জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাবুগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে মারধর ।। পাথরঘাটায় মৎস্য বিভাগের অভিযানে ‘মারধর’, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক জেলে নিখোঁজ এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে পিরোজপুরে মানববন্ধন রাঙাবালী তে সালাতুল ইসতিস্কার নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পিরোজপুরে ভোটে অংশ নেওয়ায় দল থেকে বিএনপি নেতা বহিষ্কার অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না বরগুনায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, জায়গা নেই হাসপাতালের মেঝেতেও তালতলীতে পানিতে লাফ দিয়ে কিশোরের মৃত্যু

রোহিঙ্গার পর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে চান সুচি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আব্দুল্লাহ আল মামুন (এ আল মামুন), বিনোদন প্রতিবেদকঃ

আশা-আকাংখায় তারা মানুষ, প্রেম-প্রীতি ভালোবাসায়ও তারা মানুষ, তবুও তারা যেন মানুষ নয়, মানুষেরই ভগ্নাংশ মাত্র। তারা রোহিঙ্গা। নিজ দেশে নির্যাতিত, ধর্ষিত, নিপীড়িত এবং রাষ্ট্র ও নাগরিকত্বের পরিচয়হীন এক বিধ্বস্ত জনপদ। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর হাতে মর্মান্তিকভাবে নির্যাযিত হয়ে প্রাণ বাঁচানোর জন্য আশ্রয়ের জন্য ছুটে আসা এই জনপদকে নিয়ে পরিচালক অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড নির্মাণ করেছেন ‘রোহিঙ্গা’ ছবিটি। এ ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুচি। তার চরিত্রটির নাম ধলাবি।

তিনি বলেন, ‘আমি যখন আমার নিজের পোষাক ছেড়ে ধলাবি চরিত্রের পোষাক পরতাম তখন আমি পুরোপুরিভাবে রোহিঙ্গাদের একজন হয়ে যেতাম। রোহিঙ্গাদের ভাষা কোনোদিন শুনিনি। কিন্তু ধলাবির সাজে সজ্জিত হওয়ার পরই আমার মুখ দিয়ে রোহিঙ্গা ভাষা অনর্গল চলে আসতো। আমার ভাষা ও ঢং দেখে এক রোহিঙ্গা নারী আমাকে বলেছিলেন, আপনি আমাদের ভাষা জানেন, আমাদের সঙ্গে থেকে যান।’ সুচি এভাবেই ধলাবি হয়ে উঠার গল্প শোনান এই প্রতিবেদককে।

তিনি বলেন, ‘ধলাবি চরিত্রে আমার অভিনয় করার কথা ছিল না। এখানে ছিল অন্য কেউ। কিন্তু আমি প্রতিদিন রিহার্সালে থাকতাম। রোহিঙ্গা ভাষা রপ্ত করার চেষ্টা করতাম। হঠাৎ একদিন ডায়মন্ড স্যারের স্ত্রী অর্থাৎ আমাদের ভাবী বললেন আমাকে ধলাবি সাজতে। সাজলাম। দেখে বললো তুমিই ধলাবির চরিত্রে অভিনয় করবে।’ তিনি বলেন, ‘ধলাবি চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। পাহাড় থেকে পাহাড়ে ছুটতে হয়েছে। সারাদিন কাজ করার পর রাতে অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পড়তাম। কারো সঙ্গে কথা বলারও মন-মানসিকতা থাকতো না।

যাহোক, ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর নিজেকে বড় পর্দায় দেখে আনন্দ পেয়েছি। সে আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আরো ভালো লেগেছে, ছবি দেখে অনেকেই আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। সেটাতো আমার কাছে কম পাওয়া নয়।’ রোহিঙ্গা ছবিতে প্রশংসিত হওয়ার পর চলচ্চিত্র নিয়ে তার পরবর্তী পরিকল্পনা কি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বড় পর্দায় অভিনয় করার মজাটাই আলাদা। কাজতো করবোই, তবে দেখেশুনে করব। অভিনয় প্রধান চরিত্র হলে আমি নিশ্চয়ই ভালো করব। সে আত্মবিশ্বাস আমার আছে।

সর্বশেষ