নিজস্ব প্রতিবেদক :: লকডাউনের তৃতীয় দিনে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন সড়কে বেপরোভাবে চলাচল করছে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা। রীতিমতো সড়কে রাজত্ব করে চলছে এই রিকশাগুলো। এতেই প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
শনিবার (২ জুলাই) সরেজমিনে নগরীর কালিজিয়া, নতুল্লাবাদ, রূপাতলী, সদর রোর্ড, কাকলির মোড়, ফকির বাড়ি রোর্ড, কাউনিয়া, শিশু পার্কের সামনে দেখা গেছে, সরকার ঘোষিত লকডাউনের তৃতীয় দিনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা। সাথে রয়েছে পায়ে চালিত রিকশা। তবে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরও বরিশাল শহরসহ দক্ষিণাঞ্চলের মহাসড়কে এসব ব্যাটারী চালিত রিকশা প্রায় সব জায়গাতে দেখা গেছে।
নগরীর সদর থেকে শুরু করে বিভিন্ন পয়েন্টে ও গলিতে চলাচল করছে ব্যটারিচালিত রিকশা। এমনই কিছু চিত্র প্রতিবেদকের ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। মহাসড়কে যানবাহন না থাকায় যাত্রী বুঝে ভাড়া হাঁকছে চালকরা। একটি অটোরিকশায় দুই জনে পরিবর্তে ৩/৪ জন যাত্রী এক সাথে নিচ্ছে তারা। যাত্রী নিয়ে বেপরোয়া গতিতে ছুটছে অলি গলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারী রিকশা। কখনো পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কখনো আবার পুলিশের সামনে দিয়েই চলাচল করতে দেখা গেছে তাদের।
নগরীর বাংলা বাজার এলাকার সহিদ নামে এক ব্যক্তি জানান, রাস্তা এখন রিকশার দখলে। দ্রুত যাওয়ার আশায় যাত্রীরা পায়ে চালিত রিকশায় না চড়ে ব্যাটারি চালিত রিকশায় যাচ্ছেন। এদিকে বরিশালের মহাসড়কে চলতে দেখা যাচ্ছে তাদের। মহাসড়কে কীভাবে এইসব নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে? প্রশ্ন করেন তিনি। মহাসড়কে এইসব ব্যাটারী রিক্সা যেন চলাচল করতে না পারে এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ দাবী জানান তিনি।
করিম নামে অন্য আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা দেখেছি রিকশা-ভ্যানের মধ্যে মোটর লাগিয়ে রাস্তায় চলছে। শুধু সামনের চাকায় ব্রেক, পিছনের চাকায় কোনো ব্রেক নেই বা ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল। সেগুলো যখন ব্রেক করে যাত্রীসহ গাড়ি উল্টে যায়। এই গাড়িগুলোতে ওঠা থেকে সচেতন হওয়া উচিত।’
বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক টি আই আব্দুর রহিম বরেল, এই ব্যাটারীরিকশাগুলো পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চালছে। তবে মহাসড়কে তাদের পেলেই জব্দ করা হচ্ছে। এদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।