৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঐতিহ্যবাহী আমতলীর গরুর হাট বিক্রি কম, মাঝারী, ছোট গরুর চাহিদা বেশী, দামও বেশী।

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীর পশুর হাট জমে উঠেছে। দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ গরুর হাট আমতলী। সপ্তাহে প্রতি বুধবার হাট। ঈদ-উল আযহা আর মাত্র তিন দিন বাকী। দেশীয় পশুকে আমতলী গরুর হাট সয়লাব হয়ে গেছে। বুধবার আমতলী গরুর হাটে কোরবানী উপযোগী গরু ক্রয়-বিক্রয় কম হয়েছে। মাঝারী ও ছোট গরুর চাহিদা বেশী হলেও দাম বেশী ছিল।
আমতলী প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলায় ৭ হাজার ৮’শ ২৫টি কোরবানীর পশুর চাহিদা থাকলেও ২২১টি খামারে ৮ হাজার ২১৬ টি পশু রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল কুষ্টিয়া, ঝিনাইদাহ, যশোর, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লক্ষীপুর ও শিরাজগঞ্জ জেলা থেকে শতাধিক পাইকারী ক্রেতা এসেছে এ হাটে। এ বছর উত্তরাঞ্চলের বড় ব্যবসায়ীরা কোরবানী উপযোগী গরু ক্রয় করছেন না। বিকেল চারটা পর্যন্ত আমতলীর গরুর হাটে এক হাজার পাচ’শ গরু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে মাঝারী ও ছোট গরু বেশী বিক্রি হয়েছে বলে জানান আমতলী গরুর হাট পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান।
চুনাখালী গ্রামের গরু বিক্রেতা আবু ছালেহ বলেন, হাটে বড় ধরনের একটি গরু এনেছি। দাম চেয়েছিলাম ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কিন্তু ক্রেতারা দাম বলেছ মাত্র ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।
বিক্রেতা সবুজ মিয়া বলেন, দইু লক্ষ বিশ হাজার টাকায় তিনটি গরু বিক্রি করেছি। গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে হাটে দাম কিছুটা কম।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, কোরবানী উপলক্ষে পশুর বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে মানুষ নিরাপদে পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিনসহ সাদা পোশাকে পুলিশ হাটে কাজ করছে।
আমতলী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আমিনুর ইসলাম বলেন, মোটাতাজাকরন ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পশু পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম রয়েছে। রোগাক্রান্ত পশু যাতে বিক্রি না হয় সে বিষয়ে মেডিকেল টিম হাটে কাজ করছে।

সর্বশেষ