১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
গলচিপায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার বারি মুগডাল ভাঙ্গানো মেশিন : দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকের স্বপ্নপূরণ কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায় দাবদাহের প্রভাব, বাতিল হচ্ছে বুকিং শাকিবের জন্য পাত্রী খুঁজছে পরিবার! কাউখালীতে জাহাজের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-৩৭ বছর চান শিক্ষামন্ত্রী মঠবাড়িয়ায় যুবককে অপহরণের অভিযোগ,  চেয়ারম্যান সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ বাবুগঞ্জ উপজেলা যুব সংহতির ফ্রি শরবত বিতরণ মহান মে দিবস, বঙ্গবন্ধু ও শ্রমিক অধিকার ॥ লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ॥

‘পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম’ এর লক্ষণ, সমস্যা ও করনীয়

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা PCOS:-
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ( Polycystic Ovary Syndrome) বা সংক্ষেপে PCOS হলো নারীদের একটি হরমোনজনিত রোগ৷ একজন নারী তার সন্তানধারণ সময়কালের অর্থাৎ পিরিয়ড হওয়ার পর থেকে মেনোপোজ হওয়ার সময় পর্যন্ত, যেকোনো সময়ে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, যা তার সন্তানধারণ করার ক্ষমতা বা ফারটিলিটি-কে বাধাগ্রস্থ করতে পারে৷
➡️কি কি কারণে ঝুঁকি বাড়ে?
জিনগত কারণ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ইনসুলিন বিরোধিতা, শরীরে উচ্চমাত্রার প্রদাহ, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ফাস্টফুড জাতীয় ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার গ্রহণ, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এই রোগকে বেশি প্রভাবিত করে। তবে জরায়ুতে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি কম থাকে। কিন্তু যেটি হয় আক্রান্ত মেয়েরা মানসিকভাবে বেশি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
➡️PCOS আক্রান্ত নারীরা যেসব জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন:
↪️গর্ভধারণে জটিলতা।
↪️ডায়াবেটিস।
↪️মেটাবোলিক সিনড্রোম যেমন–হৃদনালি সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়া, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল ইত্যাদি বেড়ে যাওয়া, রক্তচাপ বাড়া, ইত্যাদি।
↪️বিষণ্ণতা অনুভব করা।
↪️উদ্‌বেগ।
↪️জরায়ু থেকে রক্তপাত হওয়া।
↪️ঘুমের সমস্যা৷
↪️যকৃতে প্রদাহ।
➡️PCOS-এর সম্ভাব্য লক্ষণসমূহ:
১. শরীরের বিভিন্ন অংশে অপ্রয়োজনীয় চুল গজানো৷ যেমন–মুখমণ্ডল, স্তন, হাত কিংবা পায়ের পাতায়।
২. প্রতিনিয়ত চুল পড়া বা চুলের ঘনত্ব হালকা হতে থাকা৷
৩. ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে হওয়া বা ব্রণ হওয়া।
৪. শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বক কালো হয়ে যেতে থাকা যেমন–হাত কিংবা স্তনের নিচের ত্বকে, গলার পেছনের অংশে, কুঁচকিতে কালো দাগ ইত্যাদি৷
৫. ঘুমে সমস্যা হওয়া কিংবা সারাক্ষণ দুর্বলতা অনুভব করা৷
৬. মাথাব্যথা৷
৭. পিরিয়ডকালীন সময়ে অতিরিক্ত রক্ত যাওয়া৷
৮. অনিয়মিত পিরিয়ড হওয়া৷
৯. গর্ভধারণে সমস্যা হওয়া৷
১০. ওজন বাড়তে থাকা
➡️কখন আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
উল্লেখিত লক্ষণের সবগুলো অথবা কয়েকটি লক্ষণ যখন আপনি দেখতে পাবেন, দেরি না করে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন৷
সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ধরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে এ রোগ থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব৷ এজন্য যত দ্রুত ডাক্তারের সহায়তা নিবেন, আপনার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ততই বাড়বে৷

লেখক:

ডা:ফারহানা পারভীন
সহকারী অধ্যাপক
স্ত্রী, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ বরিশাল ।

চেম্বার- ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, বরিশাল। বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা।

সর্বশেষ