২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ঈদের নামাজের নতুন নির্দেশনা নিয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এর আলোচনা সভা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

 

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের আয়োজনে ঈদের নামাজের নতুন নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদের হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( অঃ দাঃ) মোঃ মিজানুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ আজাদ, জাহাঙ্গীর নগর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আহসান হিমু, কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম ব্যপারী,দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহমুদ, চাঁদপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান সবুজ, মাধবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান,বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের জামেমসজিদ পেশ ইমাম আ. জ. ম. শামসুল আলম,
বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি শাহজাহান খান,সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরিফ হোসেন প্রমুখ।

এসময় ( ১৩ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয় তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। যাহা হল
ঈদুল আজহার নামাজের জামাত মসজিদের পাশাপাশি ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজন করা যাবে।

মঙ্গলবার জারি করা এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে যথোপযুক্ত বিবেচিত হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদুল আজহার জামাত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কারপেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।
তবে নামাজ শেষে কোলাকুলি করা যাবে না।তবে ঈদের জামাত আয়োজনে বেশ কয়েকটি শর্ত মানতে হবে। সেগুলো হলো- মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। এছাড়া প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদ বা ঈদগাহে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান–পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে- মসজিদ বা ঈদগাহে অজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা এবং প্রবেশদ্বারেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে। মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আর ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।

সর্বশেষ