৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুমকীর নতুন বাজারে শাহজাহান শিকদারের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর শুভ জন্মদিন আজ (৬ মে) দুমকিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান শিকদার এর নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন পিরোজপুরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ মনপুরায় জেলেদেরকে মা*রধ*র করে টাকা ছি*নিয়ে নিল মৎস্য কর্মকর্তারা! আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ঝালকাঠি সদরে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ বরিশালের দুই উপজেলায় ৬৬ শতাংশ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বরিশালে ৮ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফের বাস চলাচল স্বাভাবিক ইন্দুরকানীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ নেতার পাঠাগারে আগুন পাথরঘাটায় ৭ মণ হাঙর ও ৬০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার

একজন মানবিক ডাক্তার অমিতাভ তরফদার

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক–

চিকিৎসা সেবা একটি মহান পেশা। মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করলেও সবাই ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে সুনাম কিংবা সুখ্যাতি বয়ে আনতে পারে না। কেউ কেউ মানব ধর্ম কিংবা মানবিকতা প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছাগুলোকেও জলাঞ্জলি দিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে ভালো মানুষ হয়ে ওঠা। কিন্তু সেটা ক’জন পারে। অনেকে তার নিজের কর্মগুনে অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যান। নামের পেছনে নানা উপাধির তকমাও পেয়ে থাকেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। যার ফলে রাতারাতি বিখ্যাতও হয়ে যান তারা।

তেমনি আজ কথা বলব, একজন এমবিবিএস চিকিৎসকের কথা। যিনি এই পেশায় থেকেও মানব সেবার ব্রত নিয়ে অভিজাত শহরাঞ্চল ছেড়ে এসেছিলেন গ্রামাঞ্চলে। তার লক্ষ্য ছিল একটাই-সাধারণ মানুষের মাঝে সেবা পৌঁছে দেওয়া। যা তিনি আজ অনেকাংশেই এর বাস্তব রূপও দিয়েছেন নিজ কর্মগুনে। সাধারণ মানুষের মাঝে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। হয়েছেন সবার সেরা, সেরাদের সেরা। বেশ কয়েক বছর যাবৎ দুমকি উপজেলা সদরের বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল লুথ্যরান হেলথ্ কেয়ারের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে স্বাস্থসেবা দেওয়ার পাশাপাশি মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেও অনেককেই সহযোগিতা করে থাকেন এই গুনী চিকিৎসক। ধনী-গরীব, নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবার মধ্যে তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্বস্ত বন্ধু। তাই তো রাতারাতি সাধারণ মানুষের কাছে তিনি মানবিক ডাক্তার বলেও গোটা পটুয়াখালী জেলার মধ্যে আলাদা একটা পরিচিতি পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, তিনি ২০১৩ সালের জুলাই মাসে এমবিবিএস পাস করেন। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে ইন্টার্নি শেষ করেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ২০১৫ সালে ওই হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে মর্নিং শিফটে যোগদান করেন। একই সাথে ইভেনিং এবং নাইট শিপটে কাজ করেন। ২০১৫ সালের আগস্টে সার্জারি বিভাগে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে শিশু বিভাগে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবেও কাজ করেন। ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি দক্ষিণাঞ্চলের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ সেবাদানকারী লুথ্যারান হেলথ কেয়ারে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করেন। এখানে যোগদানের পর থেকেই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি তৃণমূল-প্রান্তিক মানুষের মাঝে এই প্রতিষ্ঠানের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। তিনি চিকিৎসা সেবায় নিত্যনতুন কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন।

এখানকার ছিন্নমূল হতদরিদ্র মানুষের আস্থার প্রতীক এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল সেটি আবার একটি বিশ্বাসের জায়গায় রূপ দিয়েছেন তিনি। রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার, স্বাস্থ্য সেবায় গুণগত পরিবর্তন আনা এবং সেবা প্রার্থীদের আন্তরিকতা দেখানোর মধ্য দিয়ে একটি বিশ্বস্ততার জায়গায় এনে দিয়েছেন। তিনি ১৯৮৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর খুলনা সদরের এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা সুনীল তরফদার ব্যবসায়ী ছিলেন এবং মা গিতা তরফদার অবসরপ্রাপ্ত নার্সিং সুপারভাইজার।

লুথ্যারান হেলথ কেয়ারে চিকিৎসা নেয়া রোগী শামীম আহমদ বলেন, ভালো সনদ, বড় ডিগ্রি থাকলেই বড় চিকিৎসক কিংবা ভালো চিকিৎসক হওয়া যায় না। একজন ভালো চিকিৎসক হতে গেলে একজন মানুষের মধ্যে অনেকগুলো গুন বিদ্যমান থাকতে হয়। যা অমিতাভ দাদার মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে।

তানিয়া আক্তার নামের এক শিশুর মা বলেন, আমি আমার সন্তানকে নিয়মিত তার কাছে চিকিৎসা নেই। তিনি খুব ভালো মানুষ এবং একজন মানবিক মানুষ। তার সঙ্গে কথা বললেও রোগীর অর্ধেক রোগ সেরে যায়। আমরা তার মঙ্গল কামনা করি।

লুথ্যারান হেলথ কেয়ারের শিশু ও মেডিসিন বিষয়ে বিশেষ অভিজ্ঞ ডা. অমিতাভ তরফদার বলেন, বরাবরের মতোই নিঃস্বার্থভাবে সাধারণ মানুষের আমৃত্যু সেবা করতে চাই। গরীবদেরকে সেবা ও সহযোগিতা করি, ভবিষ্যতেও করতে চাই। এতে আমার ভালো লাগে। মানব সেবাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য। তাছাড়া সকল ধর্মও তাই উৎসাহিত করে। তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসকরা এখানে এলেও থাকতে চায়না। কিন্তু আমি এসব স্থানে থেকে সেবার ব্রত নিয়ে তাদের পাশে সামর্থের সবটুকু দিয়ে থাকার চেষ্টা করি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সেবা দেওয়ার মুহুর্তগুলোকে আমি বেশ ভালোই উপভোগ করি।

উল্লেখ্য, এই চিকিৎসক ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক গরীব ও দুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া এবং ব্যক্তিগত খরচে তাদের ওষুধ দিয়ে থাকেন। তিনি ব্যক্তিজীবনে একজন সুখী মানুষ। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সদালাপী একজন মানুষ তিনি। এর ফলেই তিনি গোটা দুমকি উপজেলাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে একজন মানবিক ডাক্তার হিসেবে বেশ সুখ্যাতি পেয়েছেন।

সর্বশেষ