৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

একটি ব্রিজের জন্য স্বপ্ন বুনছেন ৯ নং টুঙ্গিবাড়িয়াবাসী

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মোঃ শহিদুল ইসলাম::বরিশাল সদর উপজেলার ৯ নং টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কড়াইতলা নদী।নদীর উপর একটি ব্রিজের আশায় স্বপ্ন বুনছেন হাজার হাজার মানুষ। চরকেউটিয়া, বদিউল্লাহ, গুচ্ছ গ্রাম ও শালুকা বাসির দীর্ঘ দিনের প্রানের দাবিতে পরিনত হয়েছে।টুঙ্গিবাড়িয়া নদী স্বাধীনতারও আগ থেকে কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন খেয়াঘাট হয়ে এপার থেকে অপারে নৌকা দিয়ে পারাপার হয়ে আসছে। আর এতে করে চাকুরিজীবি,শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সময়মতো গন্তব্য স্থানে পৌছতে বেগ পেতে হচ্ছে। এ ছাড়াও ঐসব গ্রাম গুলোর মানুষ রয়েছে উন্নয়ন বঞ্চিত। অথচ দেশের চলমান উন্নয়নে সদর উপজেলার কোন জনপ্রতিনিধির চোঁখ এ ঘাটের উপর পড়তে দেখা যায়নি বলে জানা যায়। শহর কিংবা হাট বাজার যেতে হলে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়। এতে কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৯ নং টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যে ১ ওয়ার্ড চরকেউটিয়া এবং বদিউল্লাহ এই গ্রাম দুটির অবস্থা করুণ।উন্নয়ন বলতে যা হয়েছে বিএনপি আমলে একটি সুইচগেইট,কালভাট,আর একটি রাস্তায় ইট বসানো হয়। উন্নয়ন বলতে হাতে কলমে এই বুজায়,এখন তার অবস্থাও করুন।নেই কোন সংস্কারের উদ্যাগ। দুই গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, একটি ব্রিজ হলে কৃষক, বিভিন্ন অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও হাট-বাজার যাতায়াত কারীদের দীর্ঘ দিনের দাবি টুঙ্গিবাড়িয়া নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের। বহুবার জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণায় এসে অনেক জনপ্রতিনিধি নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচিত হয়ে আর কেউ কথা রাখেননি।

আজও নদীর উপর সেতু নির্মাণ হয়নি।নৌকা কিংবা ট্রলার করে গ্রামবাসি অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে।এতে করে সময় এবং অর্থের অপচয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে গ্রামগুলোর মানুষের দুর্ভোগ আরো বহুগুণ বেড়ে যায়। এ ব্যাপারে ১ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহাগ মল্লিক জানান,এই নদীর উপর দিয়া ব্রিজ হলে এই গ্রাম গুলোতে উন্নায়ন সহ কয়েকগ্রামের হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে।

৯ নং টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাহউদ্দিন আহম্মেদ মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদকে জানান, দক্ষিন বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ২ হাজার সালে সদর উপজেলার সাহেবের হাট বন্দর আসেন,তখনই টুঙ্গিবাড়িয়া বাসি ব্রিজের দাবি জানালে তিনি তা নির্মানের প্রতিশ্রুতি দেন। সেই থেকে আজও ঐ কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা একটি ব্রিজ আশায় স্বপ্ন বুনছেন।
তিনি আরও জানান,কয়েক বছর যাবদ বিভিন্ন সময় দপ্তরের কর্মকর্তারা এসে মাটি পরীক্ষা-নিরিক্ষা সহ মাপঝোপ অব্যাহত রেখেছেন বলে তিনি জানান।

এ বিষয় বরিশাল সদর উপজেলার প্রধান নির্বাহী মোঃ উলিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গত মাসেও ঢাকা থেকে এলজিডির প্রকল্প পরিচালক মোঃ এবাদত আলী সরেজমিন এসে পরিদর্শন করে গেছেন তিনি।এছাড়াও প্রায়জনীয় সকল পর্যায়ের কাগজ ঢাকাতে পাঠাইয়া দিয়েছি।এখন ব্রিজের কার্যক্রম কবে শুরু করবে ঢাকা অফিসের কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন বলে তিনি জানান।

টুঙ্গিবাড়িয়া এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জালাল আহম্মদ বলেন, গ্রাম বাসির পক্ষ থেকে ব্রিজের জন্য কয়েকবার পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কাছে গিয়ে আমি ব্রিজের কথা বলেছি,তিনি সরেজমিনে এসে দেখেও গেছেন,এবং ব্রিজ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

জালাল আহম্মদ আরও বলেন, যুগের পর যুগ কয়েক গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে হাট, বাজার, স্কুল কলেজ ও শহরে চলাচল করে আসছেন, এই সরকারের আমলেই গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে টুঙ্গিবাড়িয়া নদীর উপর দিয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন।

সর্বশেষ