৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কাউখালী চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে দেয়ার দায়ে কনের পিতাকে ৬ মাসের কারাদন্ড

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের কাউখালীতে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী (১০)কে জোড়পূর্বক বিয়ে দেয়ার দায়ে কনের পিতা মোঃ সোয়াইব শেখকে (৩২) ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোছাঃ খালেদা রেখা এ দন্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত সোয়াইব শেখ উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের বেতকা গ্রামের সফিউদ্দিনের পুত্র। বর্তমানে সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আসপর্দ্দি গ্রামের ভাড়া বাসায় বসবাস করে। আর কনে স্থাণীয় হোগলা বেতকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী।
ভ্রাম্যমান আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীর মায়ের সাথে দন্ডপ্রাপ্ত সোয়াইব শেখের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এ কারনে ওই ছাত্রী তার বাড়িতে বসবাস করত। গত ৪০ দিন আগে ওই কনেকে উপজেলার বেতকা গ্রামের জুয়েল বেপারীর পুত্র রবিউল বেপারী (১৯) এর সাথে কনের অমতে তার পিতা মাতা জোড়পূর্বক বিয়ে দেয়। বিয়ের পর স্বামীর পারিবারিক অত্যাচার সইতে না পেরে ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখার কার্যালয়ে এসে তার কাছে অভিযোগ দেয়। তিনি (ইউএনও) থানা পুলিশের সহায়তায় ওই দিন সন্ধ্যায় ওই স্কুল ছাত্রীর পিতাকে আটক করেন। পরে তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখার ভ্রাম্যমান আদালত ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখা জানান, ওই স্কুল ছাত্রীর দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামী সোয়াইব শেখকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ