৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চরফ্যাশনে সংরক্ষিত মৎস্য এলাকা মনিটরিংএর লক্ষ্যে সায়েন্টিস্ট প্রশিক্ষণ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইকোফিশ-বাংলাদেশ প্রকল্পে ওয়ার্ল্ডফিশ এর আওতায় সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকায় সমাজ ভিত্তিক মৎস্য আহরণ ও মনিটরিং এর লক্ষ্যে চরফ্যাশনের ১০ সিটিজেন সায়েন্টিস্টদের মধ্যে দিনব্যাপী প্রশিক্ষন দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেককে মোবাইল সেট ও জিপিএস সেট বিতরন করা হয়েছে।

আজ ২৮ জুলাই (বুধবার) সকাল- দুপুরে উপজেলার ইকোফিশ-২ এর চরফ্যাশন অফিসে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে এবং ওয়ার্ল্ডফিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের সহায়তায় ইকোফিশ-বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণ ও মোবাইল ফোন বিতরণ করা হয়।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন, ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ ও আইইউসিএন বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক গুরুত্বারোপ করে মাছের অবস্থান ও উৎপাদন যথাযথভাবে নির্ণয় এবং বিপন্ন সামুদ্রিক হাঙর, ডলফিন, শুশুক, ও সামুদ্রিক কচ্ছপসহ শাপলাপাতা’র অবস্থান নির্ণয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ও এদের সংরক্ষনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সায়েন্টিস্টরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন বলে বক্তব্য রাখেন অতিথিরা।

বক্তারা আরও বলেন, প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত সায়েন্টিস্টরা উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে নিঝুম দ্বীপ সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকার বর্তমান মৎস্য সম্পদের অবস্থান নির্ণয়ের মাধ্যমে দেশের মৎস্য সম্পদ ও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করতে পারবে।

ইউএসএআইডি ইকোফিশ-২ এর কার্যক্রমের আওতায় সাগরগামী প্রগতিশীল জেলেদের যথাযথ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ‘’সিটিজেন সায়েন্টিস্ট’’ হিসেবে গড়ে তোলা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে সায়েন্টিস্টরা উপস্থিত সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের প্রকৃত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বর্তমান অবস্থা নির্ণয়ে ইকোফিশ-২ এর বিজ্ঞানিরা নিরলসভাবে কাজ করছেন বলে জানান কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ