৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুমকিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান শিকদার এর নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন পিরোজপুরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ মনপুরায় জেলেদেরকে মা*রধ*র করে টাকা ছি*নিয়ে নিল মৎস্য কর্মকর্তারা! আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ঝালকাঠি সদরে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ বরিশালের দুই উপজেলায় ৬৬ শতাংশ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বরিশালে ৮ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফের বাস চলাচল স্বাভাবিক ইন্দুরকানীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ নেতার পাঠাগারে আগুন পাথরঘাটায় ৭ মণ হাঙর ও ৬০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিমের উপকার ভুলেনি বৃদ্ধ মফিজুল বাউফলে ভাইয়ের ছেলের হা*মলায় বিধ্বস্ত ভিক্ষুকের বসতঘর

তারুণ্যোর শক্তিই গড়বে উন্নত- সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। – হাসানুজ্জামান অমি গাজী

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

কলাপাড়া প্রতিনিধি ঃ বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সুদক্ষ নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান তার নেতৃত্বে তারুণ্যো গড়বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান।

সুষ্ঠু ও পরিচ্ছন্ন সমাজ গঠনে তরুণদেরকে নিয়ে এগোতে হবে। তরুণদের একতার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাজ গঠন করা সম্ভব। তারা সমাজ ব্যবস্থায় ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, দুর্নীতি সহ বিভিন্ন অরাজগতা বা বিশৃঙ্খলা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেই সাথে তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের দেশে অধিকাংশ তরুণ স্বেচ্ছাসেবী হয়ে অসহায় মানুষদের হয়ে কাজ করছে। তাদের জন্য বিভিন্ন সময়ে সরকারি ও এনজিও ভিত্তিক সংগঠন গুলোর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ফলে তাদের মধ্যে এক ধরনের মানুষের প্রতি ভালোবাসার বন্ধন গড়ে উঠেছে এবং নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা সৃষ্টি হচ্ছে। সেজন্য তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

এই দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য পরিতাপের বিষয় হলো, এখনকার ছেলে মেয়েদের প্রশ্ন করলে তাদের শতকরা অর্ধেকেরও বেশি যে উত্তর দেয় তা হলো দেশের বাইরে ভবিষ্যত জীবন গড়ে তোলার। এখন প্রশ্ন জাগে, বিদেশে গেলে কি আগামীর বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে? কস্মিনকালেও সম্ভব হবে না। তবে হ্যাঁ বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য যাওয়া যেতে পারে। সেখান থেকে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে নিজের মেধার ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তরুণ প্রজন্ম যদি এমন লক্ষ্য উদ্দেশ্যে নিয়ে বিদেশে যায় তাহলে দোষের কিছু নয়।

আজকাল তরুণ প্রজন্ম সৃজনশীল চর্চায় অনীহা প্রকাশ করেছে। দিনদিন বই বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারে না। অথচ তারা ইচ্ছা করলে যেকোনো সৃজনশীল চর্চায় মনোনিবেশ করতে পারে। কিন্তু তারা সেটি না করে ঘন্টার পর ঘন্টা বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় অপচয় করছে। একজন তরুণ হিসেবে আমি যেটি উপলব্ধি করি সেটি হচ্ছে, বর্তমান তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশই যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হয় তখন নিকটস্থ মোবাইল-ফোন হাতে নিয়ে ইন্টারনেট জগতে চলে যাচ্ছে। ফেইসবুক স্ক্রলিং করছে, ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখছে। অথচ তার উচিত ছিল, যার যার ধর্মীয় নীতি পালন করে দৈনন্দিন রুটিন মাফিক চলাফেরা করার। প্রত্যহে জাগ্রত হয়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা। তবে বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণে তরুণদের এই যাত্রা খুব সহজ হবে না, যদি না তারা সঠিকভাবে নিজেদের জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, ইচ্ছা, সম্ভাবনা ও সীমিত সম্পদের সঠিক সমন্বয়ের মাধ্যম তৈরি করে।

যুগ যুগ ধরে এই পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে তারুণ্যের জয়গান। তাদের সাহস, মনোবল ও উদ্দীপনায় এই পৃথিবীতে আসে পরিবর্তন। অসম্ভবকে সম্ভব করার ঝুঁকি নিতে পারে তারুণ্য। তাদের কাছে অসাধ্য বলতে কিছু নেই। তারুণ্যের জয়গান বা শক্তি নিয়ে বিখ্যাত মনীষীগণ বিভিন্ন সময়ে উক্তি দিয়েছেন, তাদের নিয়ে কথা বলেছেন। ফিলিপাইনের বিখ্যাত বুদ্ধিজীবী ও লেখক জোস রিজালের ভাষায়, ‘তারুণ্যই হলো আমাদের ভবিষ্যতের একমাত্র আশা।’ কথাটি চরম সত্য। কারণ, প্রতিটি দেশের জন্য তারুণ্য বা তরুণ প্রজন্ম বড় সম্পদ। তারাই পরবর্তী সময়ে দেশ পরিচালনা করবে, দেশের জন্য কাজ করবে। তেমনিভাবে আমাদের দেশের আজকের তরুণ প্রজন্ম আগামীর বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। তাদেরকে নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি, বিশ্ব দরবারে এই সোনার বাংলাকে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে গড়ে তুলবে।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন কারী বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত বাংলাদেশ’ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে একটি উদ্ভাবনী দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত হতে চাচ্ছে। আর তখনি তরুণ প্রজন্মেকে নিয়ে ভাবনার বিষয় বা আলোচনা করার সময় এসেছে। সোনার বাংলাদেশকে নিয়ে আমরা যে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখি, তা পূরণ করতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। বরং বলতে গেলে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে আমাদের সোনার বাংলাদেশ। আলোকিত হবে দেশ ও সমাজ ব্যবস্থা। আর সেজন্যই সময় এসেছে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের তাদের নিজেদের দায়িত্ব, কর্তব্য ও করণীয় সম্পর্কে জানার এবং সে অনুযায়ী তরুণ প্রজন্মকে আগামীর জন্য গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার।

বর্তমান তরুণ প্রজন্ম রাষ্ট্র সম্পর্কে কী চিন্তা ভাবনা করছে? বা ভবিষ্যত নিয়ে তাদের চিন্তা ভাবনা কী? সবকিছু করার আগে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা জরুরি। এই প্রেক্ষাপটে অতীতের কিছু কথা বলতে হবে। সেটি হলো, আগেরকার সময়ে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যখন শিক্ষক কিংবা কেউ প্রশ্ন করতো যে, তোমরা ভবিষ্যতে কী হতে চাও? তারা নির্দ্বিধায় উত্তর দিত, ডাক্তার হব, ইঞ্জিনিয়ার হব, শিল্পপতি হব, শিক্ষক কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট হব। কেউ কেউ সাহস করে বলে ফেলতো যে আমি ‘পাইলট হব, প্লেন চালাব। কিন্তু কেউ সাহস করে এটা বলে না যে, আমি একদিন বড় রাজনীতিবিদ হব, দেশের প্রধানমন্ত্রী হব, দেশের যেকোন মন্ত্রী পদের দায়িত্ব পালন করব। তরুণ প্রজন্ম এমন ইচ্ছে বা স্বপ্ন কেন দেখে না? কেন তাদের এমন বড় স্বপ্ন দেখা নিয়ে অনীহা? তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। অথচ বিশ্বখ্যাত জার্মান কবি ও দার্শনিক জোহান গথে বলেছেন, ‘স্বপ্ন দেখলে বড় করে দেখো। সেটাই তোমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করবে, সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগাবে’। কিন্তু এমন বড় স্বপ্ন কয়জনে দেখেন তা বলা দুষ্কর।

এই তরুণদের সামনেই আজ সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের উন্নয়ন এবং বিশ্বের বিভিন্ন আর্থসামাজিক সমস্যাগুলো দূর করার সুযোগ রয়েছে। সুযোগ আছে দক্ষ ব্যবস্থাপক হিসেবে বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নেতৃত্ব দেওয়ার। সম্প্রতি সময়ে আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যে থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষ ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে এবং পাচ্ছে। আর এই সুযোগ কিন্তু শুধু বাংলাদেশের তরুণদের জন্যই প্রযোজ্য নয়। বরং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সব তরুণই এই সুযোগ সঠিকভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে ও করবে। আমাদের তরুণেরা ও যুবসমাজ কি ভবিষ্যতের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হচ্ছে? যদি তারা তৈরি না হয়, তাহলে এই প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও বিশ্বায়নই কিন্তু জীবনের পথ চলায় চাকরি হারানো, হতাশাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। আর সেজন্যই আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য এখনই গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য তরুণদের নিয়ে দেশের নীতিনির্ধারক মহলকে ভাবতে হবে এবং তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য কিছু নীতিমালা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে হবে।

আমাদের দেশের তরুণদেরকে উন্নয়নকর্মে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কেননা, জনসংখ্যার বিবেচনায় বৃহৎ অংশ তরুণ। দেশে প্রায় ৪ কোটি ২০ লক্ষ তরুণ৷ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হতে গেলে এই বিশাল তরুণ প্রজন্মকে উন্নয়ন কর্মে নিয়োজিত করতেই হবে৷ নয়তো কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জিত হবে না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণদের নিয়ে আলাদাভাবে সুস্পষ্ট কথা উল্লেখ করতে হবে। ভবিষ্যতে তাঁরা কী ধরণের কর্মে নিয়োজিত হবেন, তরুণদের জন্য কী সুযোগ আছে এবং দলগুলো কী ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করবে, এসব বিষয় গুলো ইশতাহারে সুস্পষ্ট উল্লেখ ও বিবরণ থাকা দরকার৷ তরুণদের মাঝে দেশপ্রেম ও দেশের উন্নয়ন চিন্তা ভাবনা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। যার ফলে তারা দেশীয় পণ্যের বিষয়ে সচেতন থাকতে পারবে, দেশীয় শিল্প-সাহিত্য ও ঐতিহ্য সংস্কৃতি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবে। সেইসাথে দেশে যেহেতু আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ কম তাই দেশের সফল উদ্যোক্তাদের সম্পর্কে জানতে হবে। ফলে তরুণ প্রজন্ম উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী হয়ে উঠবে। তরুণ প্রজন্মকে সততা, নৈতিকতা এবং নিষ্ঠাবান ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সরকারের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করার পাশাপাশি বিভিন্ন দলের গঠনমূলক সমালোচনা করার মত মানসিকতা তৈরি করতে হবে। কারণ, তাদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ একদিন রাজনীতিবিদ হবে। যদি এর বিপরীত হয় তাহলে দেশের রাজনীতি, দেশের উন্নয়ন, নিজের উন্নয়ন থেকে তরুণ প্রজন্ম ছিটকে পড়বে।

বর্তমানে এই আধুনিকতার যুগে তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে তরুণ প্রজন্মকে অবশ্যই দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সে ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কেননা, যার যেটি ব্যবহার করার কথা তা যেমন করছে, তেমনি যার করার কথা নয়, সেও সেটি ব্যবহার করছে৷ যে বয়সে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা না, সে সেটি ব্যবহার করছে৷ আর সেজন্যই তরুণ প্রজন্ম যেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় অপচয় করছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেমন: ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ইউটিউব এবং অনিয়ন্ত্রিত ওয়াই-ফাই নিয়ন্ত্রণ করার সময় এসেছে। সময়ের সাথে সাথে যেন সনদধারী ও দক্ষতাহীন তরুণ প্রজন্ম গড়ে না উঠে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে৷ একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, বর্তমানে দেশে ৪০ শতাংশ তরুণ কোনো শিক্ষা গ্রহণ করছে না, কোনো ট্রেনিংও নিচ্ছে না এবং কোনো উন্নয়ন বা সৃজনশীল কর্মেও নিয়োজিত নেই৷ উন্নয়নশীল একটি দেশে কর্মহীন, দক্ষতাহীন তরুণ অকল্পনীয়৷ দেখতে হবে তরুণরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সহজলভ্য প্রযুক্তির ফলে শুধুই কি ভোক্তা হিসেবে গড়ে উঠছে, নাকি উদ্যোক্তাও হতে পেরেছে৷ প্রযুক্তির ব্যবহার তাঁদের জীবনে, শিক্ষায়, দক্ষতার উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে কতটুকু প্রভাব ফেলছে, তার সুস্পষ্ট হিসাব জানা প্রয়োজন৷ কাজেই আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্পর্কে অবগত করার দায়িত্ব সরকারের। আর সেজন্য দেশের প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধারণা দেওয়ার জন্য সেমিনার বা কর্মশালা আয়োজন করতে হবে। সেই সাথে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। ফলে তারা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি ও নিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে উপযোগী হয়ে উঠবে।

আগামীর বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য এখনই গড়ে তুলতে হবে। তাদের গড়ে তোলার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে তারুণ্যের জয়গান নিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ এটাই প্রত্যাশা।

সর্বশেষ