৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দুমকিতে হকার পূণর্বাসন দাবিতে মানববন্ধন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আব্দুল্লাহ আল মামুন
দুমকি(পটুয়াখাল)প্রতিনিধিঃ-হকার পূণ:র্বাসন দাবিতে পটুয়াখালীর লেবুখালী ফেরিঘাটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শতাধিক হকাররা। সোমবার সকালে লেবুখালী ফেরিঘাটে ঘন্টাব্যাপী আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসুচিতে অর্ধশতাধিক হকার উপস্হিত ছিলেন ।
হকারদের দলনেতা মোঃ আলাম ফরাজি তার বক্তব্যে বলেন, পায়রা নদীর ভাঙনে নিঃস্ব হওয়া দেড়শতাধিক পরিবারের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পেশা ফেরীঘাটে ক্ষুদ্র ও হকারি ব্যবসা। আমরা লেবুখালী ফেরীঘাটে চানাচুর, আমড়া, ঝালমুড়ি, কলা, ডিম, পান, পানি, মাছ, শরবতসহ নানা প্রকার খাদ্যদ্রব্য ফুটপাতে ও ফেরীতে বেচা-বিক্রি করে কোন মতে স্ত্রী-পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি। হকাররা প্রত্যেককে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও ঋণের মূলধন নিয়ে ব্যবসা করতেছি এবং সবাইকে সপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। ফেরীঘাট বন্ধের পর আমাদেরও কর্মসংস্হান থাকবে না। ব্যবসা বন্ধ হলে এসব হকার পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। ঋণের কিস্তির জালায় আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকবে না। তাই বর্তমান সরকার প্রধান, মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অসহায় হকার পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্হানের সুযোগ চান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইদ্রিস শরীফ, আব্বাস হোসেন প্রমুখ।
স্হানীয় আ.লীগ নেতা আব্দুর রশিদ প্যাদা জানান, দীর্ঘ ২০ বছর যাবত এসব হকাররা লেবুখালী ফেরিঘাটে হকারি ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এখন যদি প্রধানমন্ত্রী তাদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি কোন বিকল্প কর্মসংস্হানের ব্যাবস্হা করে দেন তাহলে তাদের না খেয়ে মরতে হবে না।
এ বিয়য়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপ‚র্ণ তাই যতদ্রুত সম্ভব হকারদের তালিকা তৈরী করে আমরা আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি বিকল্প কিছু করা যায় কিনা সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, লেবুখালী ফেরীঘাটে দক্ষিনাঞ্চলবাসির স্বপ্নের পায়রা সেতু নির্মিত হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসে উদ্বোধনের কথা আছে। সেতুটি যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়ার পর ফেরীঘাটটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। আর এতে ফেরীঘাট কেন্দ্রিক দেড়শতাধিক হকার পরিবারগুলোর জীবন জীবিকাও থমকে দাড়ানোর আশঙ্কায় তারা (হকাররা) উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

সর্বশেষ