৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুমকিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান শিকদার এর নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন পিরোজপুরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ মনপুরায় জেলেদেরকে মা*রধ*র করে টাকা ছি*নিয়ে নিল মৎস্য কর্মকর্তারা! আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ঝালকাঠি সদরে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ বরিশালের দুই উপজেলায় ৬৬ শতাংশ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বরিশালে ৮ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফের বাস চলাচল স্বাভাবিক ইন্দুরকানীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ নেতার পাঠাগারে আগুন পাথরঘাটায় ৭ মণ হাঙর ও ৬০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিমের উপকার ভুলেনি বৃদ্ধ মফিজুল বাউফলে ভাইয়ের ছেলের হা*মলায় বিধ্বস্ত ভিক্ষুকের বসতঘর

দ্বিতীয় দিনের লকডাউনে কোন প্রভাব নেই আমতলীতে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বরগুনার আমতলীতে কোন প্রভাব নেই। প্রায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌর শহরের ব্যস্ততম এলাকার প্রায় সকল দোকানপাট খোলা ছিল। শহরের মধ্যে রিক্সা, অটোরিক্সা, মোটর সাইকেল এবং উপজেলার অভ্যান্তরিন রুটে বিভিন্ন যানবাহন পূর্বের ন্যায় চলাচল করতে দেখা গেছে।

আজ মঙ্গলবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমতলী পৌর শহরের নতুন বাজার চৌরাস্তা, হাসপাতাল, বটতলা, একে স্কুল, বউ বাজার, লঞ্চঘাট, ফেরীঘাট, উপজেলা পরিষদ ও পুরান বাজারে ঔষধসহ নিত্যপণ্যের জিনিসপত্রের দোকানসহ সকল প্রকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। কেহ পুরো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবার কেহ প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক খুলে ক্রয়-বিক্রয় করেছেন। শহরের সকল চায়ের দোকানগুলো সকাল থেকেই খুলে রেখেছে। এসব চায়ের দোকানে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে শরীরের সাথে শরীর স্পর্শ করে বসে অনেককেই চা পান করতে দেখা গেছে। শহরের মধ্যে অটোরিক্সা, মোটর সাইকেল এবং উপজেলার অভ্যান্তরিন রুটে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল ছিলো স্বভাবিক। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রতিটি যানবাহনে পূর্বের ন্যায় যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। সকালে শহরের দুটি মাছ বাজার ও সবজি বাজারে উপচে পড়া ভীর লক্ষ করা গেছে। মাছ ও সবজি ব্যবসায়ী ও বাজার করতে আসা অধিকাংশ মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা মুখে মাস্ক পর্যন্ত ছিলো না।

অপরদিকে লকডাউন চলাকালীন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌর শহরে বেশ কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনের ও পুলিশের পক্ষ থেকে টহল দিতে দেখা গেছে। সে সময় ব্যবসায়ীরা প্রশাসন ও পুলিশ দেখে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক বন্ধ করলেও তারা চলে যাওয়ার পরে আবারও প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে পূর্বের ন্যায় ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালিয়েছেন।

এছাড়া উপজেলার গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে সরকার কর্তৃক ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনা ও লকডাউন কাউকে মানতে দেখা যায়নি। গ্রাম-গঞ্জের হাট বাজার গুলোতে যথা নিয়মে দোকানপাট খোলা ছিলো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার ঘোষিত ১৮ দফা মেনে সকলকে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাহিরে এসে ঘোরাঘুরি না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে প্রচার-প্রচারনা করলেও তা কেহ শুনছেন না। সন্ধ্যার পরেও অনেককে ঘরের বাহিরে এসে জটলা করে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, যে সকল ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে লকডাউন মানছেন না বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, জনগনকে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট ও জেল জরিমানা করা হবে।

সর্বশেষ