৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঝালকাঠিতে ছাত্রীকে ব্ল্যা*কমেইল করে ধ*র্ষণ, অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেফতার বরগুনায় নারীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় গ্রাম আদালতের পেশকারকে কু*পি*য়ে জ*খম বরিশালে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি পিরোজপুরের ৩ উপজেলায় নির্বাচিত হলেন যারা চরফ্যাশনে ব্যবসায়ীকে হাত পা বেধেঁ মারধরের অভিযোগ মনপুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করলেন শাহরিয়ার চৌধুরী দ্বীপক গলাচিপা ব্লাড ফাউন্ডেশনের নতুন সদস্য সংগ্রহে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত গলাচিপায় গরমে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর বাকেরগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন রাজিব তালুকদার বাকেরগঞ্জে সাইফুল ডাকুয়ার ফলাফল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

পটুয়াখালীতে আ’লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত সেই যুবলীগ কর্মী মারা গেছেন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফলে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ কয়েক দফায় লাঠিপেটা করে। এতে একজন নিহত ও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার বেলা একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বাউফল থানার পূর্ব পাশে সরকারি ডাকবাংলোর সামনে ওই ঘটনা ঘটে।

নিহত তাপস (৩৪) যুবলীগের কর্মী ছিলেন। তিনি উপজেলার কালাইয়া এলাকার বদু দাসের ছেলে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজের সঙ্গে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হকের বিরোধ চলে আসছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ডাকবাংলোর সামনের সড়কে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে করণীয় বিষয়ে লেখা–সংবলিত একটি তোরণ নির্মাণ করছিলেন মেয়র পক্ষের লোকজন। বেলা একটার দিকে ওই তোরণ নির্মাণে বাধা দেন সাংসদ পক্ষের নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম ফারুক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মেয়র জিয়াউল। তখন দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের নেতা–কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরে চলে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন, জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) মো. ফারুক হোসেন ও বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান পরিস্থিতি শান্ত রাখতে মেয়র জিয়াউল ও ইউপি চেয়ারম্যান ফারুককে নিয়ে থানার মধ্যে বৈঠকে বসেন।

বৈঠক চলাকালে কালাইয়া থেকে সাংসদ পক্ষের ২০-২৫ জন এসে নির্মাণাধীন তোরণের বাঁশ উপড়ে ফেলে। মেয়র পক্ষের যুবলীগ কর্মী ইব্রাহিম (৩৫) বাধা দিলে তাঁকে পেটায়। তখন ফের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ ফের লাঠিপেটা করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে যুবলীগ কর্মী তাপস (৩৪) ও ছাত্রলীগ কর্মী ইমামকে (২৩) প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত আটটার দিকে তাপসের মৃত্যু হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুককে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি কেটে দেন। খুদে বার্তা দিলেও তিনি কল ধরেননি কিংবা কল করেননি।

মেয়র জিয়াউল হক বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ–সংবলিত ব্যানার দিয়ে তোরণ নির্মাণ করছিলেন। ওই তোরণ নির্মাণে বাধা দেয় ও নির্মাণসামগ্রী ভেঙে ফেলে। এ ঘটনার জন্য তিনি এবং তাঁর নেতা-কর্মীরা দায়ী নন বলে দাবি করেন তিনি।

এএসপি ফারুক হোসেন বলেন, পরিবেশ শান্ত রাখার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে ফের আলোচনা হবে। তবে কোনোভাবেই বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না। কঠোরহস্তে দমন করা হবে। ইউএনও জাকির হোসেনও একই কথা বলেন।

সর্বশেষ