৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুমকিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান শিকদার এর নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন পিরোজপুরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ মনপুরায় জেলেদেরকে মা*রধ*র করে টাকা ছি*নিয়ে নিল মৎস্য কর্মকর্তারা! আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ঝালকাঠি সদরে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ বরিশালের দুই উপজেলায় ৬৬ শতাংশ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বরিশালে ৮ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফের বাস চলাচল স্বাভাবিক ইন্দুরকানীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ নেতার পাঠাগারে আগুন পাথরঘাটায় ৭ মণ হাঙর ও ৬০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিমের উপকার ভুলেনি বৃদ্ধ মফিজুল বাউফলে ভাইয়ের ছেলের হা*মলায় বিধ্বস্ত ভিক্ষুকের বসতঘর

পিরোজপুরে বিকল্প ক্লাসের ব্যবস্থা না করেই ভেঙে ফেলা হয়েছে ৭ বিদ্যালয় ভবন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় ৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুরোনো ভবন ভেঙে নতুন ভবনের কাজ শুরু হওয়ায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ বিদ্যালয়গুলোতে বিকল্প শেড নির্মাণ করে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও বিদ্যালয়গুলো বিকল্প শেড নির্মাণ না করে ভবনগুলো ভেঙে ফেলে।

করোনা পরবর্তী সময়ে প্রায় ১ বছর ২ মাস পরে আগামী ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও এ ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ক্লাসের উপযোগী ও বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করে পুরোনো ভবন ভেঙে ফেলায়। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাত শতাধিক শিক্ষার্থীর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভবন ভাঙার পূর্বে শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রেখে এসব ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও ঠিকাদার কোনো ব্যবস্থা না করে ভবনগুলো ভেঙে ফেলে।

একটি সূত্র জানায়, ৩ বছর পূর্বে নাভান গ্রুপ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়ের কাজ পেয়ে ছিলেন। টেন্ডার প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলেও মামলাসহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে। পিরোজপুর জেলায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৫০টি সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয় নির্মাণ হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় ৭টি বিদ্যালয়ের নতুন করে কাজ শুরু করে। পরে নতুন করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে যথাসময় কার্যাদেশ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত ছয়টি বিদ্যালয়ের লেআউট দেওয়া হয়নি।

দুই একটি বিদ্যালয় বালি দিয়ে ভরাটের কাজ শুরু করা হয়েছে। মূল ভবনের এখন পর্যন্ত কোনো কাজ শুরু করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে ৮ নম্বর ভিটাবাড়ীয়া হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৭নং দক্ষিণ নদমূলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬৩ নম্বর ধাওয়া-রাজপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭৮ নম্বর বড় কানুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০১ নম্বর দক্ষিণ মধ্য শিয়ালকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০৪ নম্বর দক্ষিণ গৌরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩০ নম্বর উত্তর পূর্ব গোলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

 

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার কবির হোসেন জানায়, জরাজীর্ণ ভবনগুলো ভেঙে নতুন সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে তবে বিদ্যালয়গুলোতে ভবনের বাইরে তেমন কোনো জমি না থাকায় ভবন ভেঙে নির্মাণ কাজ ও শেড নির্মাণ করতে হবে সেক্ষেত্রে আগে কোনো বিকল্প সেড নির্মাণ করা যাচ্ছে না বলে জানান।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন খলিফা জানান, ৭টি বিদ্যালয়ের পাঠদানের ব্যবস্থা রেখে ভবন ভাঙার নির্দেশনা থাকলেও জমির স্বল্পতার কারণে ভবন ভেঙে শেড নির্মাণ করতে হচ্ছে।’’

সর্বশেষ