৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরগুনার আমতলীতে বিএনপির হামলায় ৫পুলিশ আহত পুলিশ বাদী হয়ে ৩২জনের বিরুদ্ধে মামলা, ১৩ জন জেল হাজতে।

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
গত ১৩ জুন বরগুনার আমতলীতে বিএনপি ডাকা নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ চলাকালে বিএনপি নেতা-কর্মী ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। ১৩ জনকে আটক করেছে আমতলী থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, ১৩ জুন সোমবার বিকেল ৫ টায় আমতলী একেস্কুল চৌরাস্তা আমতলী উপজেলা বিএনপি ও এর অংগসংগঠন দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। সভা শেষে বিএনপির নেতা কর্মীরা সড়কে বিক্ষোভ করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিএনপির ছোড়া ইটের আঘাতে এসআই দাদন মিয়া (৪৩), এসআই শহীদুল আলম হাওলাদার (৪৮), এএসআই কামাল উদ্দিন মিয়া (৩৮) এএসআই সোহরাব (৩৪) পুলিশের সদস্য কবির খান ((৪০) আহত হন। গুরুতর অবস্থায় দাদন মিয়া ও শহীদুল আলম হাওলাদারকে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পরপরই পুলিশ বিএনপি অফিসসহ এর আশপাশ এলাকায় সাঁরাশি অভিযান চালিয়ে ১৩ নেতা-কর্মী আটক করা হয়। আজ ১৪ জুলাই আমতলী থানার এসআই ইউনুছ আলী ফকির বাদী হয়ে বিএনপির উপজেলা সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির, পৌর বিএনপি সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান হিরু, যুবদলের সদস্য কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার, মৎস্যজীবি দলের উপজেলা সভাপতি কবির তালুকদার, সামসুল হক, সোঃ মনির, মোঃ মনিরুজ্জামান, বায়জিদ মীর, মহসিন খান, মোঃ ছগির হোসেন, মোঃ শামিম, মোঃ বায়জিদ, আবুল কালামসহ ৩২জন ও আরও অজ্ঞাত ৩০০/৩১০জনের বিরুদ্ধে ১৪৩, ১৪৭, ১৪৯, ১৮৩, ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩, ৩০৭, ১১৪, ১০৯ ও ৩৪ ধারায় মামলা করেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, বিএনপির নেতা কর্মীরাদের সভা করাকালীন সময় আমাদের পুলিশ সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেয়। ওদের মিছিলের জন্য মহা সড়কের যানজট সৃষ্টি হওয়া সরে যেতে বলায় পুলিশদের উপর হামলা চালায়। সরকারী কাজে বাধাদানসহ পুলিশের উপর হামলারঘটনায় ১১টি ধারায় ৩২জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এবং ১৩ জনকে আমতলী আদালতে প্রেরণ করলে বিচারক তাদের বরগুনা জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দশ দেন।

সর্বশেষ