২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বরগুনায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলায় আহত ৪

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরগুনা প্রতিনিধি :: বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের মদদে তার ছোটভাই নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন ও তার সমর্থকরা নৌকার প্রার্থী এম মজিবুল হক কিসলুর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে দুইজন নারীসহ চারজন আহত হয়েছেন।

বুধবার রাত ১১টার দিকে সোনার বাংলা নামক স্থানে এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করেছে।

জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এম মজিবুল হক কিসলুর সমর্থকরা সোনার বাংলা নামক স্থানে ঘরোয়া বৈঠক করছিলেন। এ সময় জেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ছোটভাই নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেনের সমর্থকরা রামদা, ছেনা ও চলা নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।

তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহমদ জালাল ও রিপন মাস্টারের দুইটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এছাড়া ৭টি দোকানে হামলা করে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। রাত ১২টায় ওই দুর্বৃত্তরা জাঙ্গালিয়া গ্রামে ঢুকে জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ঘরে হামলা করে হাওয়া ও ফিরোজা নামের দুই নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। তাদের বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ওই দুর্বৃত্তরা আবার পাতাকাটা কালা মিয়া চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে দোকানে গিয়ে ছগির নামের এক নৌকার সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে। পাতাকাটা ইউনিয়নে ওই দুর্বৃত্তরা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। পুলিশও তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, ঘোড়া মার্কার প্রার্থী মোশারফ হোসেন বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের মদদে নৌকার কর্মীদের ওপর এ হামলা চালায়। প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করেছে। তাণ্ডবে এলাকার জনগণ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার না করলে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে। আমি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।

এদিকে এ বিষয়ে জানতে জেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনকে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন কেটে দেন।

আর দোকান ও বাড়িঘর ভাংচুর ও হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন ঘোড়া মার্কার প্রার্থী মোশাররফ হোসেন।

বরগুনা থানার ওসি কেএম তরিকুল ইসলাম বলেন, দোকান বাড়িঘর ভাংচুর ও হামলা চালানোর কোনো অভিযোগ আমার কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। তবে অভিযোগ আসলে তদন্তসাপেক্ষ আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।

সর্বশেষ