৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশালের ঐতিহ্যবাহী পদ্ম পুকুরে তৈরি হচ্ছে ঝুলন্ত জেটি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী পদ্ম পুকুরে এবার নির্মিত হচ্ছে ঝুলন্ত জেটি। প্রশাসন ও ভিআইপিরা যেন খুব কাছ থেকে পদ্ম পুকুরের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারেন সেজন্যই পুকুরের মাঝখানে জেটি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রকৌশলী কর্তৃপক্ষ। অথচ দর্শনার্থীদের জন্য উম্মুক্ত নয় এই অন্যতম দর্শনীয় স্থানটি।

একপাশে সড়ক ও সান বাঁধানো ঘাট থাকলেও অযত্ন অবহেলায় পুকুরের তিনপাশে আগাছা ও জঙ্গলের বিস্তার। নগরীর সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা পদ্ম পুকুরটিকে পর্যটন স্পষ্ট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জোর দাবি করেছেন। অর্থের বিনিময়ে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হলে পদ্ম পুকুরটিও হতে পারে পর্যটন আয়ের উৎস। পদ্ম পুকুরটি মডেল স্কুলের বিপরীতে বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী সাইনবোর্ড ঝুলানো চার দেয়ালের ভিতরে সংরক্ষিত এলাকায়।

নগরীর বান্দরোড সংলগ্ন সড়ক থেকে পদ্ম পুকুরটি দেখা বেশ কষ্টসাধ্য। মডেল স্কুল ও মহিলা ক্লাবের মাঝখানে বিপরীত পাশেই বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ভবনের প্রবেশপথ। এপথ আগলে রয়েছে স্টিলের বড় গেট ও তালা। রয়েছেন একজন নিরাপত্তা কর্মী। ওই নিরাপত্তা কর্মীর কাছে পুকুর দেখার অনুরোধ জানাতেই সে দরজা খুলে দিলেন। গেট দিয়ে প্রবেশ করতেই পিচঢালা পথ সোজা চলে গেছে অফিস ভবনে।

হাতের ডানে শ্বেত পদ্মরা উঁকি দিয়ে ডাকছে। বেশ বড় পুকুর। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৭০ শতক জমিতে এই পুকুরটি তৈরি করা হয়েছে। পুকুরজুড়ে পদ্মপাতা আর সাদাটে শ্বেতপদ্ম। হাতের বামপাশে মনোরম পরিবেশের একটি রেস্টহাউজ। যেখানে লেখা রয়েছে, এটি ভিআইপিদের জন্য। পুকুরের চারপাশে হাঁটার কোনো ব্যবস্থা নেই।

রয়েছে আগাছা আর নরম কাঁদামাটি। পিচঢালা পথের পাশেই পুকুরে নেমে গেছে সান বাঁধানো ঘাট। ঘাট থেকে একটু সামনে এগিয়ে পুকুরের ভিতরে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়ার জন্য ঝুলন্ত বৈঠকখানা বা জেটি তৈরির কাজ চলছে। এই মুহুর্তে পদ্মপাতা আর সাদা শ্বেতপদ্মে পরিপূর্ণ পুকুরটি। তবে ঐতিহ্যবাহী এ পুকুরটির রক্ষণাবেক্ষণে উদাসীনতার কথা জানিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিবেশ আন্দোলনের নেতা এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত রাখা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ধীরে ধীরে পদ্ম পুকুরের ঐতিহ্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দূরের দর্শকরা এসে সহজে এ পুকুরটি খুঁজে পাচ্ছেন না।

তবে গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি সাদা পদ্ম ফুল ফুঁটেছে দাবি করেন বিআইডব্লিএটিএ’র দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পদ্ম পুকুরের তীর সংরক্ষণ ও তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ পুকুরের সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু করা হবে। তবে পদ্মা পুকুরের মধ্যে ঝুলন্ত বৈঠকখানা বা জেটি নির্মাণের বিষয়ে নবনিযুক্ত উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক কিছুই জানেন না দাবী করে বলেন, পদ্ম পুকুরটি নির্বাহী প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বে রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে তারাই ভাল বলতে পারবেন।

সর্বশেষ