৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বর্নিল সাজে সাগরকন্যা কুয়াকাটা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হোসাইন আমির কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পদ্মাসেতু উদ্বোধনকে ঘিরে কুয়াকাটা পর্যটন নগরী সজ্জিত করা হয়েছে লাল-নীল রঙে। পর্যটকদের বরনে নানা আয়োজনে প্রস্তুত রয়েছে স্থানীয় পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত থাকা সকল সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন পদ্মাসেতুর উদ্বোধনে দেশের অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় হয়ে উঠবে দক্ষিনাঞ্চলের এই জনপদ।
আগামীকাল দেশের বহুল কাঙ্খিত স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা উপকূলবাসীদের মধ্যে ব্যপক উল্লাস বিরাজ করছে। উপকূলের বাসিন্দারা মনে করছেন পদ্মাসেতু উদ্বোধন মানে দক্ষিনাঞ্চল বাসীর অর্থনীতির ভাগ্যের পরিবর্তন।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান যে, বিশেষ করে পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় দক্ষিনাঞ্চলে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগমন হবে। রাজধানীর সাথে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগ হওয়ায় নানা শিল্প, মিল-কলকারখানা গড়ে উঠবে। এর একটি বিশেষ প্রভাব ফেলবে এই অঞ্চলে যার ফলে কুয়াকাটা পর্যটন নগরী সমুদ্র সৈকত অঞ্চলের আমূল পরিবর্তন ঘটবে অচিরেই। এরই মধ্যে আনন্দের জোয়ার বাসছে গোটা কুয়াকাটার পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। প্রতিদিন তার ব্যানার-ফেস্টুন আনন্দ রেলি এবং প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা সহ বিভিন্ন সভা-সেমিনারে পালন করে যাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। পৌরসভার উদ্যোগে প্রায় এক কিলো মহাসড়ক জায়গা ঘিরে লাল নীল রঙের আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
কুয়াকাটা টুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সভাপতি জনি আলমগীর বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধন পরবর্তী আমাদের সমুদ্র সৈকতে ঋতুর সারা বছর পর্যটকদের সমাগম থাকবেই। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন দূর্যোগ সময়ের যে অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল তবে আশা করছি শীগ্রই আমাদের পর্যটন শিল্পকে ঘিরে সকলের অর্থনীতির চাকা সচল হবে এবং দেশে উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকবে।
মাদারীপুর থেকে কুয়াকাটা আগত পর্যটক হাবিবা রহমান মিম বলেন, পদ্মাসেতু চালু হলে আমাদের দক্ষিনাঞ্চলের বাসিন্দারা শিক্ষা ও চাকরি খাতে বেশ গুরুত্ব বহন করবে; যেমন শিক্ষার্থীরা পাঠদান শেষে পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিজ বাসায় ফিরতে পারবে এবং চাকুরীজীবিদের ক্ষেত্রেও একইভাবে দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রে যোগাযোগ মাধ্যমের একটি সেতুবন্ধন হবে এমন মন্তব্য করেন পরিবহন কাউন্টার ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উন্নয়ন উপ কমিটির আহ্বায়ক রাসেল খান জানান, ইতিমধ্যে পর্যটকদের বরন করে নিতে প্রতিটি হোটেল-রিসোর্টগুলোতে সাজসজ্জা সম্পন্ন হয়েছে এবং পদ্মাসেতু উদ্বোধন ঘিরে প্রতিটি হোটেলের রুম প্রতি বুকিংয়ের জন্য ৫০% ডিসকাউন্ট করা হয়েছে।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানিয়েছেন, কুয়াকাটা অত্যাধুনিক মানের মডেল পৌরসভা গঠনে পদ্মাসেতু চালু হওয়া যেন আমাদের বহুল কাঙ্খিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে। তিনি ঢাকা টাইমস’কে আরো বলেন কুয়াকাটা পর্যটন নগরী ও একটি পৌরসভার সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করে যাচ্ছি এবং পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার পরে থেকে অতি প্রয়োজনীয় একটি স্থায়ী বাস টার্মিনালের স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যে বালু ভরাট ও ওয়াল বাউন্ডারি উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পরে বাড়তি যেসকল যানবাহনের চাপ বাড়বে সেইসব ভোগান্তি এড়াতে নেয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ। পর্যটকদের সাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ পিপাসা মেটাতে অতি দ্রুত স্থায়ী বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।

সর্বশেষ