৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাউফলে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে রক্তপাত, আহত ১০

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর বাউফলে এমপি আসম ফিরোজ ও পৌরসভা মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী তাপসকে (২৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পঙ্কজকে (৩৫) বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোবার অপরাহ্নে উপজেলার ডাকবাংলোর সামনে তোরণ নির্মাণ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন দুপুর ১টার দিকে পৌর শহরের জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর সামনে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক জুয়েলের পক্ষে করোনাভাইরাসের সংক্রমনরোধে প্রচারের জন্য একটি তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছিল। এসময় এমপি আসম ফিরোজ গ্রুপের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুকের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন নেতাকর্মী এসে বাঁধা দেয়। খবর পেয়ে মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ঘটনাস্থলে আসলে ইব্রাহিম ফারুকের সাথে তার তর্কবিতর্ক হয়। এসময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা মারমুখি হয়ে পড়লে একপর্যায়ে ধাওয়াপাল্টা ধাওয়ায় এক সংঘর্ষের অবতারণা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টায় ধরে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।

এই সংঘর্ষ চলাকালে ইউএনও এবং বাউফল সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেনের মধ্যস্থতায় মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ও ইব্রাহিম ফারুককে নিয়ে ওসির রুমে সমঝোতার উপজেলা চলাকালে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির মোল্লার নেতৃত্বে কালাইয়া থেকে ২০/৩০ জন লোক মোটরসাইকেলযোগে ডাকবাংলোর সামনে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে তোরণের বাঁশের খুঁটি ভেঙে ফেলে। এসময় মেয়র গ্রুপ উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা ডাকবাংলোর মধ্যে আশ্রয় নেয়। তখন এমপি গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী তাপস (২৫) ও পঙ্কজ (৩৫) আহত হন।

এ ঘটনার আগে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় একই গ্রুপে নাজিরপুর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও ছাত্রলীগ কর্মী শামীম এবং মেয়র গ্রুপের যুবলীগ কর্মী ইব্রাহিম (৩৫), বাউফল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ (২৫) আহত হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী তাপসকে (২৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পঙ্কজকে (৩৫) বাউফল স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল পৌনে চারটা) উভয়গ্রুপের মধ্যে উত্তেজন বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক জুয়েল বলেন, ‘শহরের পরিবেশ অশান্ত করতেই ইব্রাহিম ফারুকে নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সংবলিত করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে তোরণ নির্মাণকালে বাঁধা দেয়। এবং তোরণের মালামাল ভাঙচুর করে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাজিরপুরের ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক বলেন, ‘আমার বক্তব্য দেওয়ার কিছুই নেই। মাঠ পর্যায়ে বক্তব্য দিয়েছি। সেখান থেকে কালেক্ট করে নেও।’

সর্বশেষ