৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যুর পরেও সংসারের অবলম্বন হয়ে বেঁচে রইলেন সাহিদা বেগম

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণী: অভাবের সংসারে অনেক কষ্টে দিন চলছিল সাহিদা বেগমের। মাস শেষে সংসারের আয় ব্যয় মিলে প্রতিমাসেই যেন ঘাটতি। দিনমজুর স্বামী, ২ ছেলে ও ৫ মেয়ে এবং শাশুরী ননদ নিয়ে এক বিশাল সংসার তার। তবুও জীবন যুদ্ধে সংসারটাকে নানা কৌশলে টিকিয়ে রেখেছেন সাহিদা । এরই মাঝে বয়স পঞ্চাশের আগেই হঠাৎ অসুস্থতায় মারা যান সাহিদা বেগম। সংসারের অন্যান্যদের যেন চিন্তার শেষ নেই। এমন সময় একটি সংবাদ নিয়ে হাজির ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর একজন কর্মী। জানালেন সাহিদা বেগমের একটি বীমা করা ছিল। এক হাজার টাকার মাত্র ৮ কিস্তি চালানো হয়েছে। কিন্তু নিয়মানুযায়ী তার উত্তরাধীকারীরা বীমার পুরো টাকা পাবেন।

সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অবশেষে ঐ পরিবারকে দেওয়া হলো ১লক্ষ ১৭ হাজার টাকার চেক। ১২ ডিসেম্বর পরিবারের সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে এই চেক হস্তান্তর করেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের ডিভিশনাল ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান। এ সময় অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার প্রত্যন্ত নাজিরপুর গ্রামের দিনমজুর অালাউদ্দীনের সংসারী ও পরিশ্রমী স্ত্রী ছিলেন সাহিদা বেগম। ঘরে বাইরে স্বামী স্ত্রী উভয়ই ছিলেন কঠোর পরিশ্রমী। দীর্ঘদিনের সংসার জীবনে তাদের সংসারে একে একে জন্ম নেয় ২ ছেলে ও ৫ মেয়ে সন্তান। ৩ মেয়ের বিয়ে দিতে পারলেও এখনও বাকী ২ ছেলে ২ মেয়ে।
সংসার ও সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সবসময়ই চিন্তিত থাকতেন সাহিদা বেগম। এরই মাঝে ফারইষ্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মাঠকর্মী মমতাজ বেগমের পরামর্শ ও পরিকল্পনায় ফারইষ্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে একটি মাসিক এফ.ডি.পি.এস পলিসি গ্রহণ করেন। কিন্তু ৮ মাসে ৮০০০/- জমা করে মহান অাল্লাহর ডাকে সারা দিয়ে পাড়ি জমান পরপারে।
দিনমজুর স্বামী কিংবা সন্তানরা জানতেন না তার এই সঞ্চয়ের কথা কিংবা পরিবারের জন্য কতটা চিন্তিত ছিলেন সাহিদা বেগম। যখন ফারইষ্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বাউফল জোনের তৎকালীন ইনচার্জ জনাব মোঃ খায়রুল কবির মৃত্যু দাবি পরিশোধের যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হলেন সাহিদা বেগমের বাড়িতে তখনই সবাই জানতে পারলেন মৃত্যুর পরেও নিজেকে কতটা প্রয়োজনীয় করে রেখে গেছেন সাহিদা বেগম। স্বামী, সন্তান, শাশুড়ি সবাই কাঁদলেন অঝোরে।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের ডিভিশনাল ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান বলেন, আজ ১২ ডিসেম্বর যখন ১,১৭,০০০/- টাকার মরনোওর বীমা দাবির চেক তার স্বামী নমিনি মোঃ আলাউদ্দীন মিয়ার নিকট প্রদান করতে তার বাড়িতে যাই তখন এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সম্মুখীন হই। একজন পুত্রবধু, একজন স্ত্রী, একজন মায়ের স্বচ্ছ সঠিক পরিকল্পনা একটা পরিবারের জন্য কতটা সহায়ক হতে পারে তা বুজতে বাকি থাকে না। একজন বীমা শিল্পী হিসেবে স্বার্থকতা/সফলতা/ভালোলাগাটা তখনই অনুভব করি যখন কোন এতিম/বিধবা কিংবা একটা অসহায় পরিবারের তরে কিছু করার মধ্যে সুখ অনুভব করি।

সর্বশেষ