৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ, কঠোর অবস্থানে নৌ পুলিশ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন বন্ধ থাকবে মাছ ধরা। আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। এ কারণে, যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণ বাস্তবায়নে সচেতনতামূলক আলোচনা সভার আয়োজন করে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে নৌ পুলিশের আয়োজনে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে জেলে, মৎস ব্যবসায়ী, মৎস অধিদপ্তর, কোস্ট গার্ড ও জনপ্রতিনিধিসহ সকলের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ সাগরে মাছ ধরতে গেলে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের ৫ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। এছাড়া ক্রয়-বিক্রয় বা বরফের মাধ্যমে মজুদের বিষয়ে স্থানীয়ভাবে জড়িত সকল অপরাধী ও বরফকল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে নৌ পুলিশ।

জেলেরা জানান, বছরে একের পর নিষেধাজ্ঞা লেগেই থাকে। ঠিকমতো মাছ শিকার করতে পারছেন না তারা। এ কারণে ঋণের বোঝাও পিছু ছাড়ছে না তাদের। ৬৫ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার আগে ঝাটকা সংরক্ষণের জন্য নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত সাত মাস সাগরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া মা ইলিশ প্রজননের জন্য প্রতিবছর অক্টোবর মাসে ২২ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। সব মিলিয়ে বছরে প্রায় অর্ধেকের বেশি সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকে।

কিন্তু এই সময়ে ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় এসে বঙ্গোপসাগরের মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। অথচ নিষেধজ্ঞার কারণে সাগরে মাছ শিকারি উপকূলীয় জেলেদের বেকার থাকতে হয়। ঋণের বোঝা নিয়ে নানা প্রতিকূলতা পার করতে হয়। এ কারণে ইতোপূর্বে অনেক জেলে পেশা বদল করেছেন। ঋণের বোঝা বইতে না পেরে এলাকা ত্যাগ করেছেনও অনেকে।

কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ইলিশসহ সমুদ্রের ৪৭৫ প্রজাতির মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাগরে মাছ আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই সময়ে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। কলাপাড়ায় মাছ শিকারি জেলের সংখ্যা অনেক থাকলেও নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা অনুযায়ী তাদের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে।

নৌ পুলিশের বরিশাল অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন বলেন, কঠোর নজরদারি আরোপ করা হয়েছে যেন কোনো জেলে ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যেতে না পারে। এ সকল নৌ পুলিশ স্টেশন সমূহের কাছে সকল ফিশিং বোট ও ট্রলারের তথ্য রয়েছে এবং এই ট্রলারগুলো কোথায় অবস্থান করছে সেদিকেও দৃষ্টি রাখবে নৌ পুলিশ।

 

সর্বশেষ