৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুমকিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান শিকদার এর নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন পিরোজপুরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ মনপুরায় জেলেদেরকে মা*রধ*র করে টাকা ছি*নিয়ে নিল মৎস্য কর্মকর্তারা! আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ঝালকাঠি সদরে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ বরিশালের দুই উপজেলায় ৬৬ শতাংশ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বরিশালে ৮ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফের বাস চলাচল স্বাভাবিক ইন্দুরকানীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ নেতার পাঠাগারে আগুন পাথরঘাটায় ৭ মণ হাঙর ও ৬০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিমের উপকার ভুলেনি বৃদ্ধ মফিজুল বাউফলে ভাইয়ের ছেলের হা*মলায় বিধ্বস্ত ভিক্ষুকের বসতঘর

চরফ্যাশনে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলার চরফ্যাশনে গভীররাতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ঘটনা উঠেছে৷

আজ (৬ মার্চ) শনিবার সকালে চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ৩নং ওয়ার্ডের আবদুর রহমান ফরাজি বাড়িতে৷জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মালিক ফারুক হোসেনের পুকুরের মাছ নিধন করেছে তার প্রতিপক্ষরা। সকালে পুকুরের মরা মাছ দেখতে এলাকার উৎসুক জনতা ভীড় জমায়৷পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভাসছে৷একে একে মরা মাছ ভেসে উঠছে৷ পুকুর থেকে মরা মাছ তুলে নুর নাহার ও তাজুল ইসলাম।এসময় প্রতিপক্ষ বসির, বিল্লাল ,আলমের মেয়েরা গৃহবধু নুর নাহারকে এলোপাথারীভাবে মারধর করে৷ আহত নুরনাহার বলেন শুক্রবার দিবাগত রাতে আমার ঘরের পিছনে পুকুরপাড়ে লোকজনের পায়ের শব্দ শুনে দরজা খুলে দেখি বসির ও বেল্লালসহ কয়েকজন টর্চ লাইট মেরে বস্তায় মাছ নিয়ে যাচ্ছে৷আমি চিৎকার করলে চোখে টর্চ মেরে ধরে রাখে৷এরপর ভোররাতে আমরা বসিরের ঘরে মাছের বস্তা তল্লাসী করতে গেলে সে দরজা খুলেনি৷ নুর নাহার আরও অভিযোগ করেন তারা আমাকে মারধর করে বলতে থাকে তোরে এমনভাবে মারবো কোন দাগ থাকবেনা৷৷ এরপরে স্বজনরা আমাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।এ বিষয়ে পুকুরের মালিক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন৷

এ অভিযোগ বিষয়ে কাশেম ফরাজি ও আলম বলেন, নুর নাহারকে তাদের কেউ মারধর করেনি৷বিষ দিয়ে মাছ নিধন নিয়ে বসির ও বেল্লালের সাথে কথা কাটাকাটির সময়ে হাতাহাতি হয়৷৷এতে নুর নাহার সামান্য ব্যাথা পেতে পারে৷ পুকুরের মালিক ফারুক হোসেন বলেন, আদালতের বন্টন নামা রার উপেক্ষা করে জমিজমা নিয়ে কাশেম-আলমরা রিরোধ করে আসছে৷ সংসদ সদস্যের নিকট আবেদন করলে তিনি উভয় পক্ষকে সমঝোতা করতে জিন্নাগড় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন৷ কয়েকদফা শালিসে বৈঠকে বিষয়টি এখন চুড়ান্তভাবে বিচারাধীন৷ এরইমধ্যে তারা আমার পুকুরে রাতের আধারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে এবং আমার ছোট ভাইয়ের বউ এই ঘটনা দেখে ফেলায় তাকে বাড়িতে প্রাকাশ্যে তাকে মারধর করে৷ পুকুর থেকে উদ্ধার করা ৬ বস্তা মাছ জিন্নাগড় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্হিতিতে বাজারে ১০হাজার ৩শ টাকা বিক্রি করা হয়েছে।রাতে লুট হওয়া মাছ উদ্ধার হয়নি৷

জিন্নাগড় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন ও গণমাধ্যমকর্মিরা ঘটনাস্হলে গিয়ে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের ঘটনা দেখেন৷
পুকুরে রুই, কাতল, সিলভারকাপ শৈল,কৈ মিনারকাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির বেশ বড় সাইজের মাছ মারা গেছে। এতে মালিকের প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সর্বশেষ