৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুমকিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান শিকদার এর নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন পিরোজপুরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ মনপুরায় জেলেদেরকে মা*রধ*র করে টাকা ছি*নিয়ে নিল মৎস্য কর্মকর্তারা! আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ঝালকাঠি সদরে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ বরিশালের দুই উপজেলায় ৬৬ শতাংশ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বরিশালে ৮ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফের বাস চলাচল স্বাভাবিক ইন্দুরকানীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ নেতার পাঠাগারে আগুন পাথরঘাটায় ৭ মণ হাঙর ও ৬০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিমের উপকার ভুলেনি বৃদ্ধ মফিজুল বাউফলে ভাইয়ের ছেলের হা*মলায় বিধ্বস্ত ভিক্ষুকের বসতঘর

যেভাবে মুসলিম হন অভিনেত্রী আয়ানা মুন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আধুনিক বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের অন্যতম হলেন কোরিয়ান অভিনেত্রী আয়ানা মুন। ২০১০ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। অনেক বছর আগে ইসলাম গ্রহণ করলেও দীর্ঘ এক দশক পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

মুসলিম নারীদের ফ্যাশন মডেল আয়ানা মুন ১৯৯৫ সালে কোরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। এর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন মুসলিম অভিনেত্রী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে কাজ শুরু করেন।

একজন হিজাবি মডেল ও সমাজকর্মী হিসেবে ব্যাপক সুনাম কুড়ান আয়ানা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তাঁর ৩০ লাখ ফলোয়ার। মালয়েশিয়া, কোরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় তাঁর তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় বিনোদনজগতের একজন তারকা হিসেবে খ্যাতি আছে তাঁর। তা ছাড়া মুসলিম নারীদের ফ্যাশন মডেল হিসেবেও কাজ করেন তিনি।

পরিবারের মধ্যে আয়ানাই প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। কৈশোর না পেরোতেই মুসলিম হিসেবে নতুন জীবন শুরু করতে পেরে তিনি মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর ভাই আদিয়ান মুন ইসলাম গ্রহণ করেন।

ইনস্টাগ্রামে নিজের ইসলাম গ্রহণের গল্প বর্ণনা করেন আয়ানা। একটি ভিডিওতে তিনি বলেন, মাত্র সাত-আট বছর বয়সে তিনি ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারেন। তখন ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। তখন পর্যন্ত আমেরিকা সম্পর্কে জানা থাকলেও ইরাক সম্পর্কে জানাশোনা ছিল না। ওই সময় তিনি প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পান। ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে ইরাকের অবস্থান ও সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। তখনই প্রথম ইরাকের বেশির ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে বলে জানতে পারেন।

আয়ানা জানতে পারেন যে ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। ইসলাম মানুষকে সুন্দর জীবন গঠনের নির্দেশনা দেয়। এ ছাড়া অনুসন্ধানকালে হিজাবি নারীদের অনেক ছবি দেখতে পান। নারীরা নিজেদের মুখ ঢেকে রাখছে দেখে তিনি কিছুটা বিস্মিত হন। অবশ্য তার দাদা তখন তার সঙ্গে ইসলাম ও হিজাব নিয়ে আলোচনা করেন। প্রথম দিকে হিজাবের বিষয়টি তাঁর কাছে অযৌক্তিক মনে হয়।

এর পর থেকে নারীর মুখ ও সৌন্দর্য ঢেকে রাখার মূল কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন। ইসলাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তাঁর মত পরিবর্তন করেন এবং ইসলামী জীবনাচারে মুগ্ধ হন। তখনই তিনি ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এর পর থেকে তাঁর পরিচিত বিভিন্ন সেলিব্রিটি ও ব্যক্তির সঙ্গে ইসলাম সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান শেয়ার করেন। তখন তিনি ইসলামের জীবনবিধান ও অন্যান্য বিষয় জানার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।

সূত্র : দি ইসলামিক ইনফরমেশন

সর্বশেষ