৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুমকীর নতুন বাজারে শাহজাহান শিকদারের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর শুভ জন্মদিন আজ (৬ মে) দুমকিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান শিকদার এর নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন পিরোজপুরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ মনপুরায় জেলেদেরকে মা*রধ*র করে টাকা ছি*নিয়ে নিল মৎস্য কর্মকর্তারা! আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ঝালকাঠি সদরে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ বরিশালের দুই উপজেলায় ৬৬ শতাংশ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বরিশালে ৮ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফের বাস চলাচল স্বাভাবিক ইন্দুরকানীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ নেতার পাঠাগারে আগুন পাথরঘাটায় ৭ মণ হাঙর ও ৬০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার

বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্রামীণ অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তনে এনজিও’র ভূমিকা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

এম. হাসান নোমান:
আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ও লকডাউনের কারনে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই দূরাবস্থায় পড়ে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক অবস্থা, কৃষকের কৃষি উৎপাদন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎপাদন ও সরবরাহ পুনরুজ্জীবিত করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশের মোট শ্রমজীবি মানুষের ৮৫% ই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের যারা গ্রাম, উপশহর এবং শহরে বাস করছেন। এই সম্পূর্ণ বা আংশিক লকডাউন পরিস্থিতিতে কৃষি ও অকৃষি খাতে যুক্ত এই বিশাল জনশক্তির উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগ ও জীবনযাপনের জন্য ক্ষুদ্রঋণ একান্ত অপরিহার্য। করোনা থেকে বাঁচতে সচেতনতার পাশাপাশি বিনিয়োগের সুযোগও তাদের জন্য খুব দরকার। ক্ষুদ্রঋন প্রতিষ্ঠানগুলো তা করার জন্য এই মুহূর্তে প্রস্তুত আছে এবং সামাজিক/ শারিরিক দুরত্ব বজায় রেখেই তারা তা অনায়াসে করতে পারে। বলতে গেলে, বাংলাদেশে গরিব মানুষের সচেতনতা ও ব্যবহারিক আচরণ পরিবর্তনে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান ও এনজিওগুলো অদ্বিতীয় ভূমিকা রেখে আসছে। সম্প্রতি, করোনা সম্পর্কিত সচেতনতা কার্যক্রম শুরুর সাথে সাথেই ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান ও এনজিওদের এ ধরনের কার্যক্রম লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। গ্রামীণ দরিদ্র জনসংখ্যার অধিকাংশই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষির উন্নয়ন হলে দরিদ্রতা কিছুটা লাঘব হবে। কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন NGO কৃষি ঋণ দিচ্ছে দারিদ্র জনসাধারণকে। এতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দরিদ্রতা বিমোচনের মাধ্যমে বর্তমান অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে । তাছাড়া বাংলাদেশ খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে এনজিও সমূহের ভুমিকা অনস্বীকার্য। এবং এই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে হলে এনজিওর কার্যক্রম পুরোপুরি চালু করা একান্ত প্রয়োজন।
বর্তমান অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে এনজিওগুলির মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। সাধুবাদ জানাচ্ছি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সেচ্ছাসেবী সংস্থা সমূহ বর্তমান অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে অধিক ঝুঁকি নিয়ে তাদের কর্মী বাহিনী নিয়ে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
এনজিও সমূহই পারবে এই ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তন করতে। সেহেতু পরিকল্পনা মন্ত্রীর সাথে তাল মিলিয়ে বলতে চাই এনজিকে সহায়ক শক্তি হিসেবে মনে করুন, দেখবেন দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।

সর্বশেষ