৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সীমান্তে হত্যা: বাংলাদেশ কি তবে দাফনগাহ ?

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মুহাঃ আশরাফুল ইসলাম, মনপুরা:

চীন, পাকিস্তান সীমান্তে ভারত যদি ভুলেও গুলি করে তাহলে তারা যুদ্ধাংদেহী মনোভাব নিয়ে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটায়। আর নেপালতো ভারতকে বাধ নির্মাণেই বাঁধা দেয়।
কিন্তু বাংলাদেশ তার সম্পুর্ণ উল্টো।
এখানে অব্যাহত সীমান্তে হত্যা চলতে থাকে আর আমাদের নীরবতাও বাড়তে থাকে।

বাংলাদেশের সীমান্তে হত্যার বিশ্লেষণ করলে মনে হয় যেন লাশের মিছিলের এ এক অনন্ত যাত্রা। আর আমরা অসহায়, নিরুপায় হয়ে সেই মিছিলে অব্যাহত শ্লোগান তুলছি। শ্লোগানে শ্লোগানে ক্লান্ত হয়ে পড়লে দাফনগাহে নেতিয়ে পড়ছি।
তবে কি বাংলাদেশ ভারতের দাফনগাহ?

২০১৯ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন যে গত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে মোট ২৯৪ জন বাংলাদেশি নিহত হন।

২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল, আর নির্যাতনে মারা গেছেন দুই জন।

অথচ ২০২০ সালের প্রথম ছয়মাসে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে।

অন্যদিকে, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের পুরো সময়টায় ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ’র হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪৩ জন বাংলাদেশি – যাদের মধ্যে ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন গুলিতে, আর বাকি ৬ জনকে নির্যাতন করে মারা হয়।

২০১৮ সালে সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন এমন বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা ছিল ১৪ জন। সে হিসেবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ২০১৯ সালে প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়।

জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সীমান্তে ২৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের সৈন্যদের গুলিতে।

সর্বশেষ