নিজস্ব প্রতিবেদক :: এবার বরিশালে কবি এ কে জয়নুল আবেদীন পদক পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী আবদুল লতিফ এবং শিক্ষায় পটুয়াখালী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সাবেক যুগ্ম সচিব প্রফেসর এম মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়া। পদকপ্রাপ্তদের স্বজনরা তাদের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
বুধবার বিকেল ৪টায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কবি এ কে জয়নুল আবেদীনের শততম জন্মবার্ষিকী ও ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সম্মাননা স্মারক ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে কবি একে জয়নুল আবেদীনের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও পদকপ্রাপ্ত গুণিজনদের বায়োগ্রাফি সম্বলিত একটি স্মারক পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি এ কে জয়নুল আবেদীন ফাউন্ডেশনের আহবায়ক অধ্যাপক লুৎফ-এ-আলম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সরকারি বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হানিফ, বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি গৌরনদী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোসলেম উদ্দিন শিকদার। বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির।
বরিশাল সংস্কৃতিকেন্দ্রের পরিচালক সাংবাদিক আযাদ আলাউদ্দীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন কবি এ কে জয়নুল আবেদীন ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মঈনুল আবেদীন রিয়াজ।
অনুষ্ঠানে আবদুল লতিফের লেখা গান পরিবেশন করেন অধ্যাপক নাছের জামাল ও রাইসুল রাহাত। পদকপ্রাপ্ত গুণিজনদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মেজর এম এ জলিলের স্বজন অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন আহমেদ পান্না, আবদুল লতিফের পক্ষে মো. সাইদুর রহমান ও প্রফেসর এম মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়ার পক্ষে তার ছোট ভাই রেজা মো. নাজমুল হাসান।
উল্লেখ্য, কবি এ কে জয়নুল আবেদীন ছিলেন অভিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্নেহধন্য একজন মানুষ। তিনি ১৯৭৮ সালে শের-ই-বাংলার ঐতিহাসিক ভাষণ সমূহ সংকলন করে ‘মেমোরেবল ইস্পিসেস অব শেরে-ই-বাংলা’ নামে একটি ইংরেজি বই প্রকাশ করেন। দীর্ঘ ৪০ বছর পর ঐতিহাসিক এই গ্রন্থটি বিশিষ্ট শেরে-ই-বাংলা গবেষক প্রফেসর মোঃ মোসলেম উদ্দিন শিকদার কর্তৃক অনূদিত হয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত হয় (ই. ফা প্রকাশনা ৩৩৮)।