৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
তীব্র তাপদাহে বিশুদ্ধ পানি ও শরবত বিতরণ করলো আলীমাবাদ সমাজ কল্যাণ সংস্থা আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচন: ভোলার তিন উপজেলায় ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভান্ডারিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে ও কুপিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই বরগুনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনেই আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রার্থীদের পাথরঘাটায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা, ৪ জনকে শোকজ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল মৃত ডলফিন বাউফলে গর্ভে থাকা ভ্রূণ নষ্ট, স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন ভোলায় পুলিশে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা : প্রতারক আটক উপজেলা নির্বাচন : গৌরনদীতে তিন প্রার্থীর ব্যতিক্রর্মী প্রচারণা

গলাচিপায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণী শীতবস্ত্র ও শিল্প পণ্য মেলা উদ্বোধন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সজ্ঞিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে পটুয়াখালীর গলাচিপায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবমুখর ও মনোরম পরিবেশে প্রথমবারের মতো মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণী,শীতবস্ত্র ও শিল্প পণ্য মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪ টায় পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত গলাচিপা সরকারি
মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় খেলার মাঠে মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহম্মদ সাহিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ দে,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, সহ-সভাপতি হাজী মু. মজিবর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. নিজাম উদ্দিন তালুকদার,আঠারগাছিয় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারি কমান্ডার আব্দুল বারেক তালুকদার এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মু. নুরুল ইসলাম ধলা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতা-কমী মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজ, জনপ্রতিনিধি, সংবাদিক,ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।আকর্ষণীয়, প্রাণবন্ত ও সফল করার লক্ষ্যে আলোকসজ্জাসহ বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক প্রামাণ্য চিত্র, হাতিসহ সার্কাসের কলাকুশলীদের বিভিন্ন খেলা, শিশু-কিশোরদের বিনোদনমূলক বিভিন্ন রাইডিং, শীতবস্ত্র ও শিল্প পণ্যের চিত্র সম্বলিতবিলবোর্ড দ্বারা সাজানো হয়েছে মেলার আঙ্গিণার সম্মুখভাগের দেয়াল। প্রধান ফটকের ওপরে রয়েছে সুসজ্জিত একটি কাঠের তৈরি বৈঠাসহ নৌকা। ফটকটির নিকটেই রয়েছে দৃষ্টিনন্দন একটি ফোয়ারা। এটি মেলা প্রাঙ্গণের সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। মেলার প্রধান আকর্ষণ নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরী ও বালক-বালিকাসহ নানা বয়সের মানুষের চিত্ত মনোরঞ্জনের জন্য আয়োজিত ‘দি গ্রেট রংমহল সার্কাস’। এতে রয়েছে হাতি, ঘোড়া, রং বেরং এর পোশাক পরা বামনাকৃতির জোকার অভিনেতা, দর্শকের মনকাড়া জিমনাস্টিকস’র দক্ষ নারী-পুরুষ ও
বিভিন্ন আকর্ষণীয় খেলার কলাকুশলীগণ। বিশেষ আকর্ষণ বিনোদনপ্রেমী শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন রাইডিং যেমন-
ট্রেন, নৌকা, নাগরদোলা, চাইনিজ চরকা, ওয়াটার গেমস,চাইনিজ জাম্পিং স্লিপার ইত্যাদি। মেলায় রয়েছে গলাচিপার ঐতিহ্যবাহী স্টার গ্যালারী ও চারটি প্যাভিলিয়নসহ শতাধিক স্টলের সমাহার। স্টার গ্যালারীতে রয়েছে আকর্ষণীয় ও উন্নত মানের কম্পিউটার, সিসি ক্যামেরা,একুরিয়াম, জুতা, মুক্তার তৈরি মালাসহ বিভিন্ন পণ্য, শামুক ও ঝিনুকের তৈরি যাবতীয় পণ্য, হাতির দঁাতের তৈরি মালা, চুলের কঁাটা, আগরদানি, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ব্যবহৃত শঙ্খ ও
শঁাখা। এ ছাড়া আরও রয়েছে বিলেতী ইঁদুর, খরগোশ, কবুতর,কোকোডাল, লাভবার্ড, বাজিগর, গ্রে ঘুঘু, সাদা ঘুঘু,ছোট ঘুঘু, তোতাসহ নানা প্রজাতির পোষাপাখি।
প্যাভিলিয়নগুলোতে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক
প্রামাণ্যচিত্র; টিভি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রো ওভেন, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, ইলেকট্রিক মিট কুকার, ফিল্টার,
ব্যালেন্ডার, গ্যাসের চুলাসহ বিভিন্ন দামী পণ্য; ১৩০-২০০
টাকা মূল্যের সাংসারিক নানান পণ্য ও ঐতিহ্যবাহী ঢাকা
বিসমিল্লাহ চটপটি হাউস এ্যান্ড করাচি কাবাবের দোকান।স্টলগুলোতে রয়েছে মেয়েদের থ্রিপিস, নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের শীতের জ্যাকেট, ব্লেজার, কম্বল, জুতা, ব্যাগ,কসমেটিকস, ক্রোকারিজ এবং কক্সবাজার থেকে আগত রাখাইন উপজাতীয় নারী বিক্রেতাদের হরেক রকম বার্মিজ পণ্য। এ ছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে ড্রাই খাবার, উন্নতমানের সু-স্বাদু আচার ও ১০-১০০ টাকা মূল্যের সু-স্বাদু খিলি পানের (আগুণ পান) দোকানও রয়েছে। সেখানে আরও রয়েছে মেলা কার্যালয় ও পুলিশ বক্স।
মেলার প্রথম দিন থেকেই মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষণীয়।সমাগম হয়েছে নানা বয়সের মানুষের । দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থী, বিনোদনপ্রেমী ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের কলরবে মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। এ যেন এক মিলনমেলা। কেনাকাটা,খাওয়া-দাওয়া আর বিনোদনে ছোট-বড় সকলের মুখে যেন ফুটেছে আনন্দের হাসি। সুখের স্বর্গ থেকে যেন পরিতৃপ্তিলাভ করে যে যার ঠিকানায় ফিরছে কিছু রোমাঞ্চকর অনুভূতি ও নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে।মেলার আয়োজক বীরমুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন তালুকদার জানান, ৪৫ দিনব্যাপী চলবে এ মেলা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে মেলার কার্যক্রম। তবে সার্কাসের তিনটি শো প্রদর্শিত হবে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। মেলা প্রাঙ্গণে যাতে কেউ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে বা কোন ধরণের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য পুলিশ প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণ সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত রাখা হয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এবং ক্রেতা ও দর্শনাথর্ীদের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে মেলার স্থায়ীত্বের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ