নিজস্ব প্রতিবেদক :: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টায় কওমী শিক্ষাকে সমমানের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত ও কোরআনের আলোয় আলোকিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের আওতায় গ্রামীণ জনপদে শুরু হয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষার কার্যক্রম।
জানা গেছে, জেলার উজিরপুর উপজেলার পূর্ব মুন্ডপাশা গ্রামের দানশীল মীর সোহরাব হোসাইনের উদ্যোগে গ্রামের ছেলেদের ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য পূর্ব মুন্ডপাশা এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে “মারকাযুল কারীম সামেলা মাজেদ কওমী মাদ্রাসাচ্ নামের একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। যা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের আওতায় অন্তভর্ূক্ত হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে মাদ্রাসাটির উদ্বোধণ করেছেন বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও চরমোনাইর পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম।
কুরআন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা শাহ মোঃ জামাল উদ্দিন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টায় কওমী শিক্ষাকে সমমানের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তৃতি ঘটাতে পূর্ব মুন্ডপাশা গ্রামের দানশীল মীর সোহরাব হোসাইন মাদ্রাসা নির্মাণের জন্য ৬০ শতক জমি দান করেছেন। পাশাপাশি বোর্ডের মাধ্যমে ১০২ শতক জমি স্থানীয়দের কাছ থেকে ক্রয় করা হয়েছে। মাদ্রাসার মোট ১৬২ শতক জমির উপর বর্তমানে দুইটি ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, মাদ্রাসাটিতে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী কিরাতুল কুরআন, হিফজুল কুরআন ও কিতাব বিভাগ নামের তিনটি বিভাগ চালু করা হয়েছে। এরইমধ্যে পাঁচজন শিক্ষককে বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মাদ্রাসার পুরো কার্যক্রম চালু হওয়ার আগেই অর্ধ শতাধিক ছাত্র ভর্তি হয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে পুরোদমে ভর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল মীর জানান, গ্রামের মধ্যে ধর্মীয় এ প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধণ করার পর থেকে গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের মধ্যে ভিন্নরকম আমেজ তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি পুরোদমে চালু হওয়ার আগেই স্থানীয় জসিম হাওলাদার মাদ্রাসার মধ্যে তার জমি রয়েছে দাবী করে মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের কাজে বাঁধা দিয়ে আসছে। অথচ জমিক্রয়ের দলিলে জসিম হাওলাদার নিজেই সনাক্তকারী ও মধ্যস্থতাকারী রয়েছে বলে জানান সোহেল। এমনকি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের দখলে রাখতে ইতোমধ্যে জমিদাতাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী শুরু করেছেন।
স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে বাঁধা প্রদানকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উজিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাকিল মাহামুদ আউয়াল খান বলেন, আগে এলাকার মাদ্রাসা ছাত্রদের দুরদুরান্তে গিয়ে শিক্ষা নিতে হতো। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পুরোদমে চালু হওয়ার পর মাদ্রাসা ছাত্ররা এখান থেকেই ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে। এ মাদ্রাসাটি এলাকার সুনাম বৃদ্ধি করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।