৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চরফ্যাশনে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসীর ছড়াছাড়ি॥ ডাক্তার পরিচয় দানকারী প্রশিক্ষণ বিহীন দেখছেন রুগি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত ড্রাগলাইসেন্স বিহীন ঔষুধ ফার্সেমীর ছড়াছড়ি দেখা দিয়েছে।প্রশিক্ষণনা থাকলেও এমন ব্যক্তি ডাক্তার পরিচয় দিয়ে হরহামসায়ে রুগী দেখে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করার অভিযোগ রয়েছে। চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিয়ে হয়েছেন লক্ষপতিও।

সরেজমিন চেয়ারম্যান বাজার গিয়ে দেখা গেছে, মাত্র এসএসসি পাশ করে ডাক্তারী কোন প্রশিক্ষণ না দিয়ে মধ্য বাজার সিকদার মার্কেটে “রিয়াজ মেডিকেল”নামে (মিনিহাসপাতাল) চেম্বার খুলে বসে আছেন।

দেখছেন দৈনিক শতশত রুগী। তাকে গিয়ে জনৈক মহিলা রোগির চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে। ওই বাজারের গ্রাম ডাক্তার কল্যাণসমিতির সাধারণসম্পাদক ও হয়েছেন।

তাকে কি হিসাবে গ্রামের রুগী দেখেন এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। ড্রাগ লাইসেন্স রয়েছেন নবায়নের শেষ মেয়াদ ৭মে.২০২০সাল। ট্রেড লাইসেন্সও ১৭সাল পর্যন্ত নিয়েবন্ধ রেখেছেন।

কারো ফার্মাসিষ্ট সনদ নেই কিভাবে ঔধুষ বিক্রি করেন এমন বিষয়ে ও উত্তর নেই। এদিকে হাজারীগঞ্জের চেয়ারম্যান বাজার সব চেয়ে বড় দোকান খুলে এই ভাবে বছরের পর বছর সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে ডাক্তার ও ব্যবসা উভয় চালিয়ে যাচ্ছেন।

চেয়ারম্যান বাজার সদর রোডে অবস্থিত ইবনে সিনহা মেডিকেল হল। প্রোপাইটর হিসাবে রয়েছেন মো.শাহে আলম। তার ড্রাগ লাইসেন্স রয়েছে জণৈক হিন্দুর নামে। তারও ফার্মাসিষ্ট সনদ নেই। তিনি বলেন, আমাকে এক সাপ্তাহ সময় দেন আমি সব রেডি করে দিব।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, চরফ্যাশন উপজেলায় ২৫২ঔষুধ ফার্মেসী রয়েছে। তার মধ্যে ১৬০ ড্রাগ লাইসেন্স রয়েছে। ফার্মাসীষ্ট প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত রয়েছে প্রায় ২০০শত ।

স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যান বাজারে সিরাজউদ্দিন নেবুলাইজেশানের মাধ্যমে ৪/৫ টাকা খরচ করে একশত থেকে দেড়‘শ টাকা নিচ্ছেন। নাম সর্বস্ব কোম্পানির মেডিসিন দিয়ে সহজ সরল মানুষের টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন প্রতিনিয়ত।চেয়ারম্যান বাজারে ও চরফ্যাশন পৌরসভায় নামে বে-নামে লক্ষ লক্ষ টাকার জমি এবং ভিটা করছেন তিনি।

চেয়ারম্যান বাজারের সিরাজউদ্দিন বলেন, আমি কোন দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ দেয়নি।উপজেলায় অনেকে রোগি দেখতে পারলে আমি পারবনা কেন? আমিরুগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।

উপজেলা গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩৭৫জন প্রায় ৪০০প্রশিক্ষণ বিহীনগ্রাম্য ডাক্তার রয়েছে।

আগ্রহনা থাকায় তাদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা যাচ্ছেনা। তবে প্রাথমিক চিকিৎসাতারা দিতেছেন।

চরফ্যাশন ড্রাগ এন্ড ক্যামিষ্ট সমিতির সম্পাদক জালাল আহম্মেদ বলেন, আমাদের প্রায় ১৬০টি ড্রাগ লাইসেন্স রয়েছে এবং ফার্মাসীষ্ট এর সংখ্যাও প্রায় ২০০শত।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃকর্মকর্তা ডা. শোভন কুমার বসাক বলেন, ৬ মাস ১ বছর মেয়াদী প্রশিক্ষণ বিহীন কেউই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার কোন রাইট নেই। ১-৫দিনের প্রশিক্ষণের সনদ দিয়ে রুগী দেখতে পারবেনা।

সর্বশেষ