৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে আরো দুই ধাপ পেছালো বাংলাদেশ ঝালকাঠিতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ গৌরনদীতে নির্বাচনি সহিংসতায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ৩ কক্ষ পরিস্কার করতে বিলম্ব হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে জখম ৪৪তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশঃ মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৮ মে বিয়ে বাড়িতে কাজীকে চর থাপ্পড় মারলেন বিএনপি নেতা ! তীব্র তাপদাহে বিশুদ্ধ পানি ও শরবত বিতরণ করলো আলীমাবাদ সমাজ কল্যাণ সংস্থা আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচন: ভোলার তিন উপজেলায় ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভান্ডারিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে ও কুপিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই

ঝালকাঠি আদালত চত্ত্বরে ধর্ষকের সাথে তরুণীর বিয়ে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির আদালত চত্ত্বরে ধর্ষণ মামলার আসামীর সাথে ভুক্তভোগী তরুণীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ঝালকাঠির অবকাশকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহর নির্দেশে রোববার দুপুরে দুইপক্ষের উপস্থিতে বিয়ে পড়ান কাজী মাওলানা মো. সৈয়দ বশির। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিয়ের বর হলেন- বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগাতি গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে নাঈম সরদার (২২) আর কনে হলেন ঝালকাঠির বালিঘোনা গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের মেয়ে আরজু আক্তার (১৮) । বিয়ের পর আসামী বর নাঈমের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক মো. শহিদুল্লাহ।

পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মান্নান রসুল বরিশালটাইমসকে জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বালিঘোনা গ্রামের আরজু আক্তার গত ৮ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে মর্মে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন। বিচারক ভিকটিমের অভিযোগ ঝালকাঠি থানায় এফআইআর হিসেবে রেকর্ডরে নির্দেশ দেন। ১২ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় এফআইআর রেকর্ড হলে একমাত্র আসামী নাঈমের বাবা আনোয়ার হোসেন ছেলেকে ১৩ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় সোপর্দ করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুজ্জামান আসামীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত নাঈমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

রোববার অবকাশকালীন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামীর জামিন শুনানীর সময় আসামী পক্ষ ভিকটিমকে বিবাহের আগ্রহ প্রকাশ করলে এবং নির্যাতিত পক্ষও প্রস্তাবে রাজি হলে বিচারক মো. শহিদুল্লাহ আদালত চত্ত্বরেই ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহের নির্দেশ দেন।

আদালত চত্ত্বরে আসামী, ভিকটিম ও উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানী শেষে বিশ হাজার টাকা বন্ডে আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বর আসামী নাঈম পেশায় একজন ইলেক্টট্রিশিয়ান এবং কনে আরজু ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেছে। ২০১৯ সালের প্রথমদিকে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় এবং প্রেম হয়। ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় আরজুদের বাড়ির পেছনের বাগানে মোবাইলে ডেকে এনে আরজুকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে নাঈম।’

সর্বশেষ