৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
তীব্র তাপদাহে বিশুদ্ধ পানি ও শরবত বিতরণ করলো আলীমাবাদ সমাজ কল্যাণ সংস্থা আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচন: ভোলার তিন উপজেলায় ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভান্ডারিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে ও কুপিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই বরগুনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনেই আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রার্থীদের পাথরঘাটায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা, ৪ জনকে শোকজ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল মৃত ডলফিন বাউফলে গর্ভে থাকা ভ্রূণ নষ্ট, স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন ভোলায় পুলিশে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা : প্রতারক আটক উপজেলা নির্বাচন : গৌরনদীতে তিন প্রার্থীর ব্যতিক্রর্মী প্রচারণা

তালতলীতে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশীদ,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলীতে সাংবাদিক জলিল আহমেদ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাংবাদিক জলিল তালতলী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি টেলিভিশন এশিয়ান টিভির তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি।

গত (১৭ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার আমতলী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার বিরুদ্ধে মারধরের হুকুমদাতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন মালেক আকনের ছেলে হিরো আকন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মালেক আকনের দ্বিতীয় স্ত্রী শাহানাজ আক্তারের বাড়ি উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টারচর এলাকায়। স্ত্রীকে মারধর করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেন মালেক। রবিবার (১৬ অক্টোবর) শ্বশুরবাড়িতে বেরাতে এসে আবার শাশুড়ি ও স্ত্রী শাহনাজকে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনা শুনে সাংবাদিক জলিল আহমেদ সহ সাংবাদিকরা উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে। সাংবাদিকরা উপস্থিত হওয়ার পরও কয়েক দফায় মালেক আকনের শশুর বাড়ির লোকজনের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় সাংবাদিকররা ঘটনার ভিডিও ধারণের সময় মালেক আকন সাংবাদিক জলিলকে হুমকি দেন। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ এসে মালেক, তার শ্বশুর মো. নিজাম ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে উল্টো সাংবাদিক জলিলের নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মালেক আকন তার শাশুড়িকে মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয় এ সময় মালেকের শ্বশুর- ও স্ত্রী বাধা দিলে মারধরের ঘটনা ঘটে।

সাংবাদিক জলিল আহমেদ বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনে সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হয়ে ভিডিও ধারণ করি এ সময় মালেক আমাকে হুমকি-ধমকি দেয় যে, তুই ভিডিও করিস না, তোকেও কিন্তু মামলায় দেব। মালেকর অপকর্ম ঢাকার জন্যই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তিনি আরো বলেন, এ ধরনের সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করাই মালেক ও তার ছেলে হিরুর এখন একমাত্র কাজ।

মালেক আকন বলেন, আমাকে যখন মারধর করেছে তখন সাংবাদিক জলিল ওখানে উপস্থিত ছিল, আমাকে মারধর না ফিরিয়ে তিনি ভিডিও ধারণ করেন এ কারণেই আমি তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দৈনিক ভোরের কাগজ এর আমতলী-তালতলী প্রতিনিধি হারুন অর রশীদ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সাইফুল্লাহ নাসির ও তালতলী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মল্লিক মোঃ জামাল।

সর্বশেষ