পিরোজপুরে মঙ্গলবার রাত থেকে আম্ফানের প্রভাবে থেমে থেমে দমকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে পিরোজপুর জেলায় চলছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। অমাবস্যার কারণে জেলার নদ-নদীর পানি তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা প্রশাসন সাত উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে।
জেলা কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৫৫৭ আশ্রয়কেন্দ্রে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন জেলার সাত উপজেলায় আটটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ৩ লাখ ১২ হাজার ৭৫০ জন ধারণক্ষমতা রয়েছে। ইতিমধ্যে এসব কেন্দ্রে রোজাদারদের ইফতার ও সেহরির জন্য নিরাপদ পানি ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক বিতরণ ও মোমবাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ নিয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষকে আনার জন্য পরিবহন ব্যবস্থা, বেড়িবাঁধ রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানিয়েছেন, উপজেলা পর্যায় ৫১টি মেডিকেল টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রশাসনের হাতে পর্যাপ্ত শুকনো খাদ্য ও নগদ অর্থ মজুদ রয়েছে। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য রেড ক্রিসেন্ট, সিপিবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন দফতরকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।