১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

এম.এ.আর নয়ন, স্টাফ রিপোর্টার:

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৪ঠা সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার সময় পৌর শহরের বেলগাছি রেলগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত আওয়ামী লীগ নেতা আলম হোসেন (৩৫) চুয়াডাঙ্গা পৌরশহরের (৮নং ওয়ার্ড) মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা ও সুরুজ আলীর ছেলে। তিনি ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গা পৌরশহরের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার সময় আলম হোসেন নামের ওই ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গার বেলগাছি রেলগেট এলাকায় একটি ক্যারাম বোর্ডের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ১০-১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাকে ধাওয়া করলে আলম দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে রনোর চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে তাকে সেখান থেকে ধরে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপুরি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাৎক্ষণিক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানান, তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ফুসফুসেও আঘাত লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে গতরাতেই বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এছাড়া ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। বিবৃতিতে এ ঘটনার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জানিফসহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তাদের বহিষ্কারের দাবি জানান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।

এর আগেও একই এলাকায় ২০১৮ সালে একই ধরনের হামলার শিকার হন আলম হোসেন। সে ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তিনি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ধারণা করা হচ্ছে তারাই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অনাকঙ্খিত ঘটনা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান দ্বন্দ্বের কারণে প্রায়ই শহরের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে থাকে। শান্তি প্রিয় জেলাবাসী অনতিবিলম্বে এমপি ছেলুন গ্রুপ ও পৌরমেয়র জিপু গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান এই দ্বন্দ্বের অবসান চান।

সর্বশেষ