৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে আরো দুই ধাপ পেছালো বাংলাদেশ ঝালকাঠিতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ গৌরনদীতে নির্বাচনি সহিংসতায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ৩ কক্ষ পরিস্কার করতে বিলম্ব হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে জখম ৪৪তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশঃ মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৮ মে বিয়ে বাড়িতে কাজীকে চর থাপ্পড় মারলেন বিএনপি নেতা ! তীব্র তাপদাহে বিশুদ্ধ পানি ও শরবত বিতরণ করলো আলীমাবাদ সমাজ কল্যাণ সংস্থা আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচন: ভোলার তিন উপজেলায় ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভান্ডারিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে ও কুপিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই

প্রথমবারের মতো উজিরপুরে ইভিএমে ভোটগ্রহণ, ভোটারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক :: দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠেয় বরিশালের উজিরপুর পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এই নির্বাচনে ভোটাররা সকল ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট প্রদান করবেন। তবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপির মনোনিত প্রার্থীসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা বলছেন, ‘ইভিএমে কোন ধরনের জালিয়াতি করা সম্ভব না। তাই ইভিএমে ভোট হলে তা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।’ প্রথমবারের মতো উজিরপুর পৌরসভার ৯টি ভোট কেন্দ্রের সবগুলোতে ইভিএমে ভোট হতে যাচ্ছে। যে কারণে ভোটারদের মধ্যে যেমন আগ্রহ দেখা গেছে, ঠিক তেমনি ইভিএম সম্পর্কে নানা জটিলতা এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। অনেকের কাছে ইভিএমে ভোটদান সহজ হলেও অধিকাংশের কাছে তা অনেক জটিল। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেশিরভাগ মধ্য-বৃদ্ধ বয়সী এবং অল্প শিক্ষিত ভোটাররা জানিয়েছেন, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটদানের বিষয়ে বুঝতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। তবে শিক্ষিত ও তরুন ভোটাররা বলছেন, এটি অনেক সহজ পদ্ধতি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, একটি ইভিএমে প্রায় চার হাজার পর্যন্ত ভোট এবং সর্বোচ্চ ৬৪ প্রার্থীর নাম দেওয়া যায়। অশিক্ষিত কিংবা অল্প শিক্ষিতরাও খুব সহজে বাটন চেপে ভোট দিতে পারেন। একটি ভোট দিতে এক মিনিটের কম সময় লাগে।

এছাড়া ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে একটির বেশি ভোট দিতে পারবেন না। ইভিএমেও প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে থাকবে। মেশিনটিতে একটি পূর্ব-প্রোগ্রামিং করা মাইক্রোচিপ থাকে, যা প্রতিটি ভোটের ফল তাৎক্ষণিকভাবে হিসাব করে প্রদর্শন করে। আর তাই ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কারচুপির সুযোগ নেই। এদিকে ইভিএম সম্পর্কে এ পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী সদ্য বিদায়ী মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন বেপারী জানিয়েছেন, ‘এ পৌরসভার নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নতুন এই পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণে কোনো ধরনের কারচুপির সুযোগ নেই। সে হিসেবে নির্বাচন হবে অত্যন্ত সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক।’

অপরদিকে ইভিএমে ভোট গ্রহণে ব্যাপক সংশয় প্রকাশ করে বিএনপির মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ‘ইভিএমে ভোটগ্রহণ সম্পর্কে অশিক্ষিত কিংবা অল্প শিক্ষিত ভোটারদের কোন প্রকার ধারণা নেই। তাছাড়া ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হলে ক্ষমতাসীনরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট ডাকাতি করতে পারে।’ তবে ইভিএমের মাধ্যমে কোনো ধরনের কারচুপি কিংবা জাল ভোটের সুযোগ নেই দাবি করে রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম বলেন, ‘নতুন এই পদ্ধতির জন্য ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে তারা ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে পারেন। একই সাথে নির্বাচনী এলাকা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিস এবং অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মাধ্যমে ভোটারদের ইভিএম সম্পর্কে ধারণা দিতে বিভিন্নভাবে প্রদর্শণী প্রচারণাও চলছে।’

তিনি আরও জানান, ‘এ পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপির এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনিত প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৯ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ডিসেম্বর ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ৬.২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে উজিরপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ পৌরসভায় ৯২৫ নতুন ভোটারসহ মোট ভোটার সংখ্যা ১২০৫৪ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৬০৭৩ জন এবং নারী ভোটার ৫৯৮১ জন।

সর্বশেষ