৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে আরো দুই ধাপ পেছালো বাংলাদেশ ঝালকাঠিতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ গৌরনদীতে নির্বাচনি সহিংসতায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ৩ কক্ষ পরিস্কার করতে বিলম্ব হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে জখম ৪৪তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশঃ মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৮ মে বিয়ে বাড়িতে কাজীকে চর থাপ্পড় মারলেন বিএনপি নেতা ! তীব্র তাপদাহে বিশুদ্ধ পানি ও শরবত বিতরণ করলো আলীমাবাদ সমাজ কল্যাণ সংস্থা আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচন: ভোলার তিন উপজেলায় ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভান্ডারিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে ও কুপিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই

বরগুনায় শ্যালকের বউ অপহরণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরগুনা প্রতিনিধি :: শ্যালকের বউকে অপহরণ মামলায় দুলাভাইকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপর সাতজনকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার সকালে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় ৭ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। আসামি মিরাজ পলাতক।

বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সহকারী পিপি জানান, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ছোট টেংরা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে জাকির হাচান বাদী হয়ে ওই ট্রাইব্যুনাল ২০১২ সালের ১৭ মে আটজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

আসামিরা হলো, বড় টেংরা গ্রামের মতিয়ার রহমান সরদারের ছেলে বাদীর দুলা ভাই শাহ আলম (৪৫), শাহ আলমের সহযোগী আউয়াল গাজীর ছেলে আজিজুল হক হানিফ গাজী (৪৭), এনছান জোমাদ্দারের ছেলে হারুণ জোমাদ্দার(৪৬), আবুল কালামের ছেলে রাসেল (৩০), হাবিব সরদারের ছেলে মিরাজ (৩৭), তানজের আলীর ছেলে আবুল কালাম (৪০), হোসেন আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৪০) ও ইউসুফ আকনের ছেলে ওচমান (৩৮)।

আরো পড়ুন: রাজশাহীর চারঘাটে বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা

মামলার বাদী জাকির হাচান বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে তার দুলাভাই শাহ আলম ও তার সহযোগীরা ওই বছরের ১০ মে বাদীর বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ফাতেমা বেগমকে তার স্বামী কোথাও না পেয়ে ট্রাইব্যুনালে ওই ৮ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা পাথরঘাটা থানার এসআই আবদুস সত্তার ওই বছরের ৩০ আগস্ট আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে এ রায় প্রদান করেন।

বাদী বলেন, আমার দুলা ভাই শাহ আলম আমার স্ত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রীকে দিয়ে আমাকে তালাক দিয়ে দুলাভাই বিয়ে করে।

আদালতের বারান্দায় শাহ আলম বলেন, ফাতেমা স্বেচ্ছায় আমার সঙ্গে গিয়েছে। আমরা এখন স্বামী-স্ত্রী। আমাদের দুইটি সন্তান আছে।আমাদের অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা হাইকোর্টে আপিল করব।

বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এ পিপি আশরাফুল আলম বলেন, এটি যুগান্তকারী রায়। দুলাভাই হয়ে শ্যালকের বউকে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে করেছে। এই রায়ে অন্যরা শিখবে। অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হয়।

সর্বশেষ