৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বিয়ে বাড়িতে কাজীকে চর থাপ্পড় মারলেন বিএনপি নেতা ! তীব্র তাপদাহে বিশুদ্ধ পানি ও শরবত বিতরণ করলো আলীমাবাদ সমাজ কল্যাণ সংস্থা আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচন: ভোলার তিন উপজেলায় ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভান্ডারিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে ও কুপিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই বরগুনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনেই আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রার্থীদের পাথরঘাটায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা, ৪ জনকে শোকজ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল মৃত ডলফিন বাউফলে গর্ভে থাকা ভ্রূণ নষ্ট, স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন ভোলায় পুলিশে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা : প্রতারক আটক

বরিশালে চাকরির প্রলোভনে কিশোরীকে আটকে রেখে দেহব্যবসা, দম্পতিসহ আটক ৫

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল নগরীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে এনে আটকে রেখে  দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে গিয়ে বাসা থেকে আরও দুই কিশোরী যৌনকর্মী ও দুই খদ্দেরসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বরিশাল নগরীর আগরপুর রোডের হাবিব ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাসায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- বরগুনার তালতলী উপজেলার হুলাটানা এলাকার মৃত মোসলেম হাওলাদারের ছেলে আবুল কালাম (৫৫) ও তার স্ত্রী রাহিমা বেগম (৪০)। তবে ১১ ও ১৬ বছরের দুই কিশোরী ও ৩৪ বছরের যৌনকর্মীসহ খদ্দেরের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী বলেন, আটক দম্পতির বিরুদ্ধে মানবপাচার, পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা করবেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। যৌনকর্মী ও খদ্দেরদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা করা হবে।
নির্যাতনের শিকার কিশোরীর জানায়, দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে একই এলাকার ইউপি সদস্য ও প্রতিবেশী এক নারী বরিশালে ভালো চাকুরির প্রলোভন দেখায়। এমনকি ওই নারী ১০ ফেব্রুয়ারি বাসে করে বরিশাল নগরের রুপাতলীতে নিয়ে আসেন। সেখানে আনার পরে একটি মাইক্রোবাসে তুলে চোখ বেঁধে একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে আটক করে তাকে। ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে আরও ৫/৬ জন কিশোরীকে দেখতে পায় সে।
কিশোরীর অভিযোগ, তাদের এভাবে জিম্মি করে এনে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করেছেন কালাম ও তার স্ত্রী রহিমা। কথা না শুনলে মারধর এবং ধর্ষণ করতেন কালাম। শাস্তি হিসেবে যৌন সর্ম্পকের সময়ে অমানবিক কষ্ট দেওয়াও হতো।
ওই কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়েকে কাজ দেওয়ার কথা বলে আটকে ধর্ষণ, মারধর করা হয়েছে। বাইরের লোকদের কাছে রাত যাপনের জন্য বাধ্য করা হয়েছে। এসব কথা মেয়ে আমাকে জানালে থানায় অভিযোগ দিই। মঙ্গলবার সকালে কোতয়ালি মডেল থানায় গেলে মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে প্রশাসন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে কালামের সেই আস্তনা খুঁজে বের করে আসামিদের আটক করেছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্যাতনের শিকার কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশি তৎপরতায় নেমে চক্রটির সন্ধান পাওয়া যায়। সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে দুই কিশোরীসহ অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ