প্রায় ১৭ লাখ টাকা আত্মসাত মামলায় বরিশাল নগরীর আছমত আলী খান ইন্সটিটিউটের (এ,কে স্কুল) সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক এসএম জসিম উদ্দিনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক মো. আল-ফয়সাল রবিবার এই আদেশ দেন। এরপরই জসিম উদ্দিনকে বিশেষ ব্যবস্থায় বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের জুন মাসে অ্যাডভোকেট গোলাম মাসউদ বাবলুর নেতৃত্বাধীন এ কে স্কুলের তৎকালীন পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। একই বছরের ১০ আগস্ট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবুকে সভাপতি করে নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। বাবলুর কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তার সাক্ষর জাল করে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন একটি রেজুলেশন তৈরী করেন। ওই সময় তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন একটি স্টল (বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্স) ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা গ্রহন করেও স্কুলের তহবিলে জমা দেননি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। হাসান মাহমুদ বাবুর নেতৃত্বাধীন কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর এর আগে কমিটি বিহীন ৩৯ দিনে স্কুলের আয়-ব্যয়ের হিসেব যাচাই করেন। এতে বড় ধরনের আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পায় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য বিএম কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মনোজ কুমার রায়কে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রায় ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রধান শিক্ষক এসএম জসিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করে। একই সাথে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের জন্য শিক্ষা বোর্ডে একটি চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।
অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় গত ২২ এপ্রিল স্কুলের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদ বাদী হয়ে সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি উচ্চাদালতের আগাম জামিনে রয়েছেন। এদিকে ওই মামলায় নিম্ন আদালত তাকে সমন দিলে রবিবার ধার্য্য তারিখে তিনি আদালতে হাজির হন। শুনানি শেষে আদালত এসএম জসিম উদ্দিনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বলে জানান স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি হাসান মাহমুদ বাবু।