ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় গভীর রাতে সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে বাবা ও দুই পুত্রকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় মেদিরাবাদ-তারাবুনিয়া গ্রামে বুধবার রাতের এই ঘটনায় গুরুতর আহত এক ছেলের শরীরে ৭২টি ও বাবার শরীরে দেওয়া হয়েছে ৩৬টি সেলাই। তাদের দুজনেরই চোখে গুরুতর আঘাত রয়েছে জানিয়েছে চিকিৎসকেরা।
আহতের পারিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে ৫/৬ জনের একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত সিঁদ কেটে আব্দুল হাই হাওলাদারের ঘরে ঢোকে এবং বড় ছেলে হাসিবকে (৩০) ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে প্রথমে ছোট ভাই ছাইফ (১৯) ও পরে বাবা আব্দুল হাই (৬৫) এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভোর রাতে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি কর করা হয়।
আহত আব্দুল হাই হাওলাদারে মেয়ে রুমা আক্তার মুঠোফোনে জানান, হামলাকারীরা তার বড় ভাই হাসিবেকে হত্যার উদ্দেশে ঘরে প্রবেশ করে বেধড়ক মারপিট করাসহ এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। এতে তার অবস্থা অশঙ্কাজনক শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ৭২টি সেলাই এবং পিতা আব্দুল হাইয়ের শরীরে ৩৬টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার আব্দুল মান্নান শাকিল জানান, আহত হাসিবের মাথায় ও চোখের ওপরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়া তার বাবা আব্দুল হাই হাওলাদারের মাথায় ও চোখের ওপরে বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি বলছে, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করেছে।’