৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচন: ভোলার তিন উপজেলায় ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভান্ডারিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে ও কুপিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই বরগুনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনেই আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রার্থীদের পাথরঘাটায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা, ৪ জনকে শোকজ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল মৃত ডলফিন বাউফলে গর্ভে থাকা ভ্রূণ নষ্ট, স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন ভোলায় পুলিশে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা : প্রতারক আটক উপজেলা নির্বাচন : গৌরনদীতে তিন প্রার্থীর ব্যতিক্রর্মী প্রচারণা ববিতে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়

মহিপুরে পাউবোর জায়গা দখল করে একের পর এক পাকা ভবন নির্মাণ, নিরব প্রশাসন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর মহিপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র জায়গা দখল করে একের পর এক স্থাপনাতুললেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব। কোটি কোটি টাকার সরকারীসম্পত্তি বেদখল হলেও আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে পাউবো’র কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রশাসন। যারা স্থাপনা নির্মাণের সময় অবৈধ দখল বলে হুঙ্কার দিলেও পরবর্তীতে রহস্যজনক ভাবে নিরব ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহিপুর মৎস্য বন্দরের প্রবেশপথে শেখ রাসেল সেতুর পার্শ্ববর্তী এলাকায় পাউবো’র জায়গা যে যার মতো অবৈধভাবে দখল করে নিচ্ছে। মো: জাকির হোসেনের মুসলিম মিষ্টান্ন ভান্ডার ও তার পাশে সাঈদ হোসেন পৃথকভাবে প্রায় ২০ শতাংশের দুইটি প্লট স্থায়ী পাকা ভবন নির্মানের কাজ করছে। পাউবো’র কোন কাগজ-পত্র না থাকা সত্ত্বেও তারা স্থানীয় পাউবো’র কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রশাসন ম্যানেজ করে প্রকাশ্যেই দখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নিরব প্রতিবাদ দেখা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, পাউবো’ ও সও জ’র কোন বৈধ কাগজ-পত্র না থাকা স্বত্ত্বেও কিভাবে তারা এধরনের অবৈধ দখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তারা দ্রুত দখলদারিত্বে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের শীর্ষ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, দখল কাজের শুরুতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়। অথচ তারা এখন দেখেও না দেখার ভান করছে।

এ বিষয়ে মুসলিম মিষ্টান্ন ভান্ডার এর স্বত্বাধিকারী মো: জাকির হোসেন বলেন, পাউবো’র যতটুকু কাগজ-পত্র দরকার তা আমার কাছে রয়েছে। পাউবো’র জায়গায় ঘর উঠানোর বিষয়ে আরেক দখলদার সাঈদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনিও এ বিষয়টি এড়িয়ে যান।

মহিপুৃর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ফজলু গাজী সাংবাদিকদের জানান, আমার জানামতে জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের, তবে যারা পাকা ভবন করতেছে, কিভাবে করতেছে তা আমার জানা নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র কলাপাড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী বলেন, আমি গত পাঁচদিন আগে এখানে যোগদান করেছি। কারা পানি উন্নযন বোর্ডের জমিতে পাকা ভবন তুলছে, সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। আমি সদ্য বিষয়টি জানতে পেরেছি, দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওযা হবে।

সর্বশেষ