বাণী ডেস্ক।।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, প্রথমে শুনলাম আমাদের জায়গা দেওয়া হবে না। পরে শুনলাম নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। মঞ্চ দুইবার করা হয়েছে। একবার ঈদগাহ মাঠে তারপর রাত ১২টায় আবার তা খুলে জিলা স্কুল মাঠে। নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। এমন অত্যাচার কোথাও দেখিনি। যারা স্বাধীন মাটিতে কথা বলতে দেয় না তারা কারা?
শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশাল জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, বরিশালে এবার আসার সঙ্গে সঙ্গেই ধাক্কা খেয়েছি। বিভিন্ন সময় বরিশালে এসেছি, তবে এমন ধাক্কা খাইনি কখনো।
এ সময় তিনি আরও বলেন, এই সরকার চোখেও দেখে না, কানেও শোনে না। জনগণের কথা এরা কানে নেয় না। কেননা তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এরা ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না, এরা খুনি সরকার। খালেদা জিয়া এই সরকারের ক্ষমতায় থাকায় বড় বাধা। ক্ষমতা দেখিয়ে আপনারা বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। কারণ জনগনের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, আজ স্বাধীন দেশের মাটিতে কথা বলতে দিচ্ছে না সরকার। বহুদলীয় রাজনীতির সুযোগ করে দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। কিন্তু তার সহধর্মিনী ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। আজ আন্দোলন করতে হচ্ছে, এটা লজ্জার।
এ সময় তিনি সরকার প্রধানকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন তখন কার মুখ দিয়ে আপনার মুক্তির কথা বলা হয়েছিল? ওই খালেদা জিয়াই আপনার মুক্তির জন্য কথা বলেছিলেন। আর আজ আপনি তাকে মুক্তি দিচ্ছেন না, আটকে রেখেছেন। অথচ আপনার লোকেরা পর্যন্ত আপনার বিরুদ্ধে কথা বলছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুখের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীরউত্তম), যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরওয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. বিলকিস জাহান শিরিন, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহসহ অন্যান্য জেলার নেতারা।
এদিকে সমাবেশ সফল করতে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যোগ দেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন, জল কামানসহ সাঁজোয়া যান রাখা হয় সমাবেশ স্থলের সামনে।