বরিশাল বাণীঃ সম্প্রতি সারাদেশের ইসলামী বক্তা ও পীর. ওলি আলেম- ওলামাদের নামের তালিকা প্রকাশ নিয়ে ধর্মপ্রান মুসলমানদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সিংহভাগ অলেমদের নিয়ে নানান সমালোচনারও কম নেই। তবে বেশ কয়েজন আলেম ও পীর ওলিদের নাম ঐ তালিকায় থাকায় দোশের লক্ষ লক্ষ আলেম ও ধর্মপ্রান মুসলমানের মধ্যে খোভের সঞ্চার হয়েছে। বাংলাদেশের জনমতে চতুর্থ বা পঞ্চম সংখ্যা গরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের মধ্যে চরমোনাইর হুজুরদের দল ইসলামী শ্বাসন তন্র্র বাংলাদেশ নামের দলটি অন্যতম । চরমোনাইর পীর সাহের দরবারের পীর ও তার ভাই মুফতি সাহেব ইসলামী শ্বাসন তন্ত্র দলটি পরিচালনা করেন। অন্যান্য বড় রাজনৈতিক দলের মতো সারাদেশের প্রতিটা ইউনিয়নে এই দল ও অঙ্গ সংগঠনের সক্রিয় কমিটি রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে অনেকেই বিজয়ী হয়েছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও অসহায় মানুষকে আশ্রয় দেয়ায় সুনামও রয়েছে চরমোনাইর পীর সাহেবের। । গত বছর বরিশালে বিশাল জনসভায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পুর্ব পুরুষের ইসলামের দাওয়াতকারী বলে বিশ্লেষন করে সঠিক তথ্য তুলে ধরেছিলেন দলটির প্রধান মুফতি ফয়জুল করিম। এর কয়েক বছর আগে জামায়াত বিরোধী বক্তব্য দিয়েও দেশব্যপী জামায়েত ইসলামীর চোখের বিষে পরিনত হয়েছিলো চরমোনাইর দল। তৎকালীন সময় থেকে জামায়াত সমর্থিত ইসলামী বক্তারা চরমোনাইর দলেকে ধর্ম ব্যাবসায়ী ও মৌলবাদী বলে ওয়াজ মাহফিলেও নানান ভাবে কএাক্ষ এবং নিয়মিত বিষোধাগার করে আসছে যা আজো অব্যাহত আছে। সেই সুরে সুর মিলিয়ে কিভাবে ঐ তালিকায় থাকা তর্কিত বক্তাদের নামের সাথে চরমোনাইর নাম তালিকায় আসলো তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সন্নিকটে। বাংলাদেশের আলেম ওলামাদের সাথে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্ক্য অনেক সু গভীর রয়েছে। এই মুহুর্তে এই ধরনের একটি তালিকা প্রকাশ করে আলেম ওলামাদেরকে সরকারের প্রতিপক্ষের কাতারে ঠেলে দেয়ার সামিল। তালিকার মধ্যে কট্টোর জামাত বিরোধী ইসালামী রাজনৈতিক দল ইসলামী শ্বাসনতন্র আন্দোলন নামের চরমোনাইর দল ও পীর এবং মুফতি হুজুরের নামও রয়েছে। সারাদেশে লক্ষ লক্ষ ছাত্রদেরকে কোরান ও হাদিস শিক্ষা দিচ্ছে চরমোনাইর দলটি। লক্ষ লক্ষ ছা্ত্রকে আলেম বানিয়েছেন তারা এখনও লাখো ছাত্র আলেম হওয়ার কাতারে রয়েছেন । জামায়াত বিরোধী বক্তব্য দিয়ে আওয়ামীলীগের দালাল বলে জামাতীরা চরমোনাইকে গালিও দিয়েছিলো। এখন তাদেরকে মৌলবাদ ও ধর্ম ব্যাবসায়ীর তালিকায় সংযুক্ত করে আওয়ামীলীগের চরম রাজনৈতিক শত্রু জামায়েত ইসলামীর নেপথ্য মিশনকে উসকে দেয়া হচ্ছেনাতো? এমন বিশ্লেষন করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা আরো বলছেন জাতীয় নির্বাচনের জন্য সকল রাজনৈতিক দল যখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঠিক সেই মুহুর্তে আলেম ওলামাদের সাথে আওয়ামীলীগের বিভক্তি প্রকাশ্যে আনতে পারে এই তালিকা। প্রায় ৯০ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে ভোটের আগে এমন খবরে ভোটের সময় মুসলমান ধর্মভীরু ভোটারদের মনে বিরুপ প্রভাব পরাও অকল্পনীয় নয়। সরকারের শীর্ষ মহল এবিষয়ে গভীর পর্যবেক্ষন করবেন বলেও মত দিয়েছেন অনেকেই।
ঃরিপোর্ট ঃ
আসাদুজ্জামান
লেখক ও সাংবাদিক।