৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচন: ভোলার তিন উপজেলায় ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভান্ডারিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে ও কুপিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই বরগুনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনেই আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রার্থীদের পাথরঘাটায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা, ৪ জনকে শোকজ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল মৃত ডলফিন বাউফলে গর্ভে থাকা ভ্রূণ নষ্ট, স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন ভোলায় পুলিশে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা : প্রতারক আটক উপজেলা নির্বাচন : গৌরনদীতে তিন প্রার্থীর ব্যতিক্রর্মী প্রচারণা ববিতে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়

শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু, স্বজনদের ডাক্তারকক্ষ ভাঙচুর

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ডেক্স নিউজ—-

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক‌্যাল কলেজ (‌শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।মৃতের নাম শহিদুল ইসলাম (৫০)। তিনি ব‌রিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের কলসগ্রাম এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে। তবে অভিযুক্ত ডাক্তার বলছেন, চিকিৎসায় কোনোরকম অবহেলা ছিলো না তাদের। এ ঘটনায় হাসপাতালের নতুন ভব‌নে ভাঙচুর করেছে মৃতের বিক্ষুব্ধ স্বজনরা।

রোববার (২২ জানুয়া‌রি) সকাল ১০টার দিকে হাসপাতা‌লের নতুন ভবনের চারতলায় মেডিসিন ইউনিট-২ এর চিকিৎসকদের কক্ষে এ ভাঙচুর করা হয়।ঘটনার পর ভাঙচুরকারী রোগীর ছেলেকে আটক করে পুলিশ। তবে চিকিৎসকদের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মৃতের শ্যালক ফারুক হাওলাদার জানান, তার ভগ্নিপতি শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সকাল ৯টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আনার পর মেডিসিন ইউনিট-২ এ ভর্তি করা হয়। সেখানে ভর্তির পর ভগ্নিপতির বুকে ব্যথা ও শ্বাস কষ্ট বেড়ে যায়। তাকে দ্রুত অক্সিজেন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অক্সিজেন দিতে দেরি করায় ভগ্নিপতির মৃত্যু হয়। এ সময় বড় ডাক্তার এসে কর্তব্যরত নার্সদের বকাবকি করেন।

তিনি আরও জানান, বাবার মৃত্যুর পর ভাগ্নে জুম্মান ক্ষুদ্ধ হয়ে চিকিৎসকের কক্ষে ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য ছেড়ে দিয়েছে।

শেবাচিম হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মো. মাইনুল বলেন, মৃতের ছেলে জুম্মন চিকিৎসকের কক্ষে টেবিলের গ্লাস, চেয়ার ও কাপ-পিরিচ ভেঙে ফেলে। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে জুম্মনকে আটক করি। পরে তার বাবার মৃত্যুর কারণে মানবিক বিবেচনায় চিকিৎসকের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

রোগীর স্বজনদের দা‌বি, পর পর ৩টি সিলিন্ডার আনলেও তাতে অক্সিজেন ছিলো না। পরে কোনোরকম একটি সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা গেলেও ততক্ষণে রোগী মারা যায়। ফলে ক্ষোভে ভাঙচুর করেছেন রোগীর ছেলে।

এদিকে মে‌ডি‌সিন বিভা‌গের ইন্টার্ন চি‌কিৎসক ডা. আশিক রহমানের দাবি, চিকিৎসায় কোনো রকম অবহেলা ছিলো না। তবে ভাঙচুরের বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা জোরদারের কথা জানান তিনি।

ওই ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. সোলায়মান বলেন, মেডিসিন ওয়ার্ডে প্রতিদিন রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেন। তবুও রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়। তাই এ ওয়ার্ডের নিরাপত্তা বাড়ানোসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা জরুরী।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। চিকিৎসক তিনজন হলে রোগী চারশ থাকে। তাই চিকিৎসকরা রোগীদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের অবেহলায় যে রোগীর মৃত্যু হয়, সেটা সঠিক নয়। চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।

সর্বশেষ