৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচন: ভোলার তিন উপজেলায় ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভান্ডারিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে ও কুপিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই বরগুনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনেই আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রার্থীদের পাথরঘাটায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা, ৪ জনকে শোকজ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল মৃত ডলফিন বাউফলে গর্ভে থাকা ভ্রূণ নষ্ট, স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন ভোলায় পুলিশে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা : প্রতারক আটক উপজেলা নির্বাচন : গৌরনদীতে তিন প্রার্থীর ব্যতিক্রর্মী প্রচারণা ববিতে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়

শেবাচিমে নার্সদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে অধিদপ্তর

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সম্প্রতি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নতুন যোগদান করা স্টাফ নার্সদের কাছ থেকে বিভিন্ন কাজের অজুহাতে অবৈধভাবে অর্থ (চাঁদা) আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার স্বাক্ষরিত এক স্মারকে শেবাচিম হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. মহিউদ্দিনের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার কর্তৃক দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে আরও একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জুলাই) এ বিষয়ে জানতে মোবাইলে ফোন করা হলেও ব্যস্ততার কথা জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য দিতে রাজি হননি শেবাচিম হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৩ মে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫১ জন স্টাফ নার্স যোগদান করেন। এরপর বেতন নির্ধারণ, পিডিএস, মেডিক্যাল ফিটনেস, সিল ও অন্যান্য কাজের অজুহাত দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করার কার্যক্রম হাতে নেন হাসপাতালের কয়েকজন সিনিয়র স্টাফ নার্স। সেই সূত্রে নতুন যোগ দেওয়া প্রত্যেক স্টাফ নার্সের কাছ থেকে ২ হাজার ১শ’ টাকা করে উত্তোলন করা হয় বলে খবর ছড়িয়ে পরে। এর সঙ্গে সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. মহিউদ্দিনের জড়িত থাকার বিষয়টিও সামনে আসে।

ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হলে মো. মহিউদ্দিন বলেন, শুরুতে এরকম একটা কিছু হয়েছিল, তবে পরবর্তী সময়ে বিষয়টি থেকে আমরা সরে আসি। আর টাকাপয়সা ওইভাবে তোলা হয়নি। যেহেতু অতীতে (আগের নিয়োগগুলোতে) কিছু একটা হয়েছিল, আর আমাদের বেতন-বিল হওয়া অর্থাৎ কবে নাগাদ হবে তা নিয়ে একটু শঙ্কা ছিল,তাই আমরা নিজেরাই একটু হেল্প করতে চেয়েছিলাম।

কর্মস্থলে যোগদানের আগে বেতন-ভাতার কাগজ ঠিক করতে টাকার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আগে জানতেন না জানিয়ে তিনি বলেন, মূল বিষয়টি হলো, করোনার মধ্যে কে কোথায় থাকে, সেই হিসেব করে কয়েকজনকে কাগজপত্রগুলো গুছিয়ে অফিসকে হস্তান্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যাতে অফিস একটু তাড়াতাড়ি করে দেয়।

তিনি জানান, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের আগে কিছু টাকাপয়সা খরচ হয়েছে, তবে ২১শ’ টাকার বিষয়টি সঠিক নয়। আমাদের কাজগুলো সরকারিভাবেই হওয়ার কথা, তারপরও কাজগুলো দ্রুত করতে চেয়েছিলাম আমরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এ সিনিয়র স্টাফ নার্সদের মধ্যে অসুস্থ নন, এমন বেশিরভাগই করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করেছেন ও করছেন। চাকরির সুবাদে তারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বরিশালে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাসও শুরু করেছেন। কিন্তু প্রায় ২ মাস ধরে দায়িত্ব পালন করলেও ১৪ জুলাই অব্দি তাদের বেতন-ভাতা পাননি।

তারওপর বেতন-ভাতা দ্রুত হওয়ার আশ্বাসে কাগজপত্র গুছিয়ে দেওয়ার অজুহাতে অবৈধভাবে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের পরিকল্পনা নিয়ে নামে একটি মহল। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। যদিও এ বিষয়ে হাসাপাতালের নার্সদের সংগঠনগুলোর নেতারা কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, এসব কাজ সরকারিভাবেই করা হয়, সে ক্ষেত্রে অর্থের কোনো প্রয়োজন হয় না।

এদিকে অবৈধভাবে চাঁদা তোলার বিষয়টি জানাজানি হলে বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদে হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক ডিজিটাল সিল বানানোসহ বিভিন্ন কাজে ‘টুকটাক খরচ’ হয়, সেই সূত্রে তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে বক্তব্য দেন। কিন্তু অবৈধভাবে অর্থ আদায়ে সম্মতি প্রদান করা এবং সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে এ বিষয়টি জানার পর আমলে নেয় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর। সেই সূত্রে গত ১৩ জুলাই অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একটি স্মারকে সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তারকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালকের মাধ্যমে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ